কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৩ জুলাই, ২০২০ ২১:৫৪

সাহেদ ‘মৌলভীবাজারে’, তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

করোনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম মৌলভীবাজারে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সাহেদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে মৌলভীবাজারে তিনি অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছেন তারা।

এদিকে সাহেদ চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমন সন্দেহে কমলগঞ্জের শমশেরনগরে সোমবার বিকাল ৫টা থেকে আকস্মিক পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। শমশেরনগর চৌমুহনা থেকে ভারতের ত্রিপুরাগামী সড়কের মুখে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা দাঁড়িয়ে যানবাহন তল্লাশি শুরু করেন।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা কেলেঙ্কারির পলাতক প্রধান আসামি মো. সাহেদ এ পথে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্ত পথে ভারতের ত্রিপুরা যেতে পারেন। তাই সতর্কতা হিসেবে পুলিশ সদস্যরা যানবাহন তল্লাশি করছে।

সোমবার বিকাল ৫টায় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনজির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শমশেরনগর চৌমুহনায় দাঁড়িয়ে যানবাহনগুলো তল্লাশি করেন।

বিজ্ঞাপন



পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সাহেদের মুঠোফোন ট্র্যাক করে দেখা গেছে সাহেদ মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছেন। তাই সোমবার বিকাল থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে মো. সাহেদ চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা প্রবেশ করতে পারেন। তাই তাকে ধরার জন্য পুলিশ শমশেরনগরে তদারকি চালিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের শমশেরনগর চৌমুহনায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মো. সাহেদ মৌলভীবাজারের চাতলাপুর বা কুরমা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে এ খবরে ঢাকা থেকে র‌্যাবের একটি টিম শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালায়। র‌্যাবের টিম শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন, লাউয়াছড়া, কুরমা ও সন্ধ্যার পর চাতলাপুর সীমান্ত রোডেও অভিযান করে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, কমলগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত