মিনহাজ উদ্দিন, গোয়াইনঘাট

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:৪৫

একটি সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ৬নং দক্ষিন রনিখাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরাকুল হয়ে নোয়াগাও এলাকা পর্যন্ত একটি গ্রামীণ সড়কের অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ হাজার বাসিন্দা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাা গড়ে না উঠায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ভোগান্তিতে আছেন পাশর্^বতী গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও ইউনিয়নের নোয়াগাও, নন্দিরগাও, আঙ্গারজুর এলাকার চলাচলকারী মানুষজনও।

দীর্ঘদিন থেকে সড়ক নির্মানের দাবি জানিয়ে আসলেও গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় স্থানীয়রা চলাচল করেন ফসলের ক্ষেতের আল ধরে। সড়ক না থাকায় কাদা পানি মাড়িয়ে দূরবর্তী দশগাও নোয়াগাও, সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় গিয়ে পড়াশোনা করে এলাকার অগণিত শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে বুধবার ঘুরে দেখা যায়, এলাকার মানুষজনের যাতায়াত বিড়ম্বনার এমন দুর্ভোগের চিত্র। জানা যায়, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ৬নং দক্ষিন রনিখাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরাকুল, সুন্দাউরা, মহেষখেড় এলাকার বিরাট একটি অংশের জনসাধারণ চলাচল করেন দরাকুল হয়ে গোয়াইনঘাটের নোয়াগাও গ্রামের ভেতর দিয়ে। নানা কারণে দরাকুল, সুন্দাউরা, মহেষখেড়, নোয়াগাও, আঙ্গারজুর, নন্দিরগাও এলাকায় পর্যন্ত চলাচল করেন উভয় এলাকার ১০-১৫ হাজার মানুষজন। কিন্তু উক্ত এলাকায় নেই কোন গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সহজতর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় উভয় উপজেলার এসব মানুষজন দীর্ঘকাল থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তাদের ন্যায্য এ দাবিটি বাস্তবায়নে আলোর মুখ দেখছে না দীর্ঘকাল থেকে।

দরাকুল গ্রামের মুরুব্বী শফিকুর রহমান (সরকার), সরকুম আলী, মোশাহিদ আলী, সালুটিকর বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী কবির আহমদ জানান, গ্রামীণ এই সড়কটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এ দাবিটি উপেক্ষিত হয়ে আসছে।

দশগাও নোয়াগাও স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুজন দাশ, হাফসা বেগম, এনাম আহমদ, সুমি দাস, মিলাদ আহমদসহ কয়েকজন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী কোন সড়ক নেই। কাদাপানি মাড়িয়েই আমরা সব সময় স্কুলে গিয়ে থাকি। আমাদের কষ্টগুলো যেন দেখার কেউ নেই।

দরাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম জানান, এ গ্রামের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক নেই। তাই পথচারীর পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষকরাও চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। কাদা পানি মাড়িয়ে সব সময় আমাদের স্কুলে আসতে হয়।

এ ব্যাপারে কথা হলে ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহিন আহমদ জানান, বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকে আমাদের কষ্টের কারণ। তাছাড়া বর্তমানে সব ধরণের উন্নয়ন বরাদ্ধ বন্ধ থাকায় আমাদের ইউনিয়নের তরফে এই রাস্তার কাজ শুরু করাও সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়নে আমি ভুমিকা পালন করবো।

৬নং দক্ষিন রনিখাই ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান রুকনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সরজমিনে পরিদর্শনকালে ভুক্তভোগি এলাকাবাসি জানান, সড়কটি বাস্তবায়িত হলে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জের এই পাশাপাশি এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও অাইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সড়কটি ভূমিকা পালন করবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত