নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:০৩

পুনঃতদন্তের মাধ্যমে মুনির-তপন-জুয়েল হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি

সিলেটে আলোক প্রজ্বলন

সিলেটে আলোক প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে খুন হওয়া প্রগতিশীল ছাত্রনেতা মুনির-ই কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি দে ও এনামুল হক জুয়েলকে স্মরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চা।

আলোক প্রজ্বলনের পূর্বে উদ্যোক্তারা বলেন, সিলেটে এই তিন তরুণকে হত্যার মধ্যে দিয়ে জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক খুনে রাজনীতির বিস্তার লাভ করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই তিনজনের খুনিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

বক্তারা মুনির-তপন-জুয়েল হত্যা মামলা পুনরায় চালু করে পুনঃতদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।

আলোক প্রজ্বলনের পূর্বে উদ্যোক্তাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চার আহ্বায়ক মিশফাক আহমদ মিশু ও দেবাশীষ দেবু।

তারা বলেন, ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর আমরা এই দিনটি পালন করে আসছি। নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এই দিনটিকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। প্রতিবছর আলোর মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হলেও এবার করোনা সংক্রমণের কারণে সীমিত আকারে পালন করা হয়েছে।

আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচীতে বাসদ সিলেটের সমন্বয়ক আবু জাফর, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ. কে. কিবরিয়া চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী নিরঞ্জন সরকার অপু, প্রণবজ্যোতি পাল, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক রাজীব রাসেল, অরূপ বাউল, দেবজ্যোতি দেবু, রেদোয়ান আহমদ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, নাট্যকর্মী সৈয়দ রাসেল, আবু বকর আল আমিন, অপু মজুমদার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে সিলেটের রাজপথে হত্যা করা হয়েছিল তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা মুনির ই কিবরিয়া, তপন জ্যোতি দেব এবং এনামুল হক জুয়েলকে। সেদিন থেকে সিলেট শহরে আধিপত্য বিস্তার করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত