কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:৪১

কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে চরম দুর্ভোগে ক্রেতারা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার হাট বাজারগুলোতে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। নতুন করে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলার সব কয়েকটি হাট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

কমলগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন জাতের চাল কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়ে গেছে। একই সাথে ভোজ্যতেল লিটার প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা করে। কয়েক দিন আগে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা হয়েছিল। ২ দিন আগে সে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় আবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা দরে। দেশী রসুন দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। একই ভাবে সব ধরণের শাক সবজি কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভানুগাছ বাজারের পাইকারী ও খুচরা চাল বিক্রেতা আজাদ মিয়া বলেন, ‘পাইকারী বাজারে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২ থেকে ৩শত টাকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা করে। আসলে দেশের বড় বড় চালের আড়তে ও মিলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। তার আগের মজুদ থাকায় তিনি এখনও আগের দামে চাল বিক্রি করছেন।’

মুদি দোকানী তুহিন আহমদ বলেন, ‘২ দিন আগে ভোজ্যতেল (সয়াবিন) প্রতি লিটার বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা করে। আজ সেই তেল বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৫ টাকা করে। দেশী রসুন ২ দিন আগে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে। এখন সেই রসুন বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ টাকা করে।’

নিত্যপণ্য কিনতে বাজারে আসা হৃদয় ইসলাম, আলমগীর হোসেন, নিলু কুমার সিংহ অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই করোনার প্রভাবে অর্থ কষ্টে আছি। এখন আবার চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা অবস্থা।’

বাজারে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে কমলগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘বাজার মনিটরিং করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে বাজার দর প্রেরণ করা হচ্ছে।’

আলাপকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো রকম সিন্ডিকেট করতে না পারে, সে জন্য ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলমান রয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত