কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২৩:০০

কমলগঞ্জে নেশার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে নির্যাতন

অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই বাবা

নেশার টাকা না দেওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে বাবাকে নির্যাতন করতেন ছেলে সুমন মিয়া (২৫)। শুধু নির্যাতনই নয় বিভিন্নভাবে বাবাকে অপমানও করতেন। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস বিচারও হয়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি মারধর। গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় নেশার টাকার জন্য ফের বাবাকে নির্যাতন করেন ছেলে সুমন মিয়া। মনের দুঃখে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বাবা। স্থানীয় লোকজন দেখে তাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামির কোনো গ্রামের। ভুক্তভোগী ওই বাবার নাম মাহমুদ আলী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামির কোনা গ্রামের মাহমুদ আলী একজন দরিদ্র কৃষক। কৃষি কাজের আয়ে তার সংসার চলে। ছেলে সুমন মিয়া লেখাপড়া বাদ দিয়ে মায়ের আদরে নেশায় জড়িয়ে পড়ে। বাবা মাহমুদ আলী ছেলেকে শাসন করলে তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে মারধর করেন। দীর্ঘ দিন ধরে ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী একাধিকবার শালিস বিচার করলেও কোনো কাজ হয়নি। প্রতিনিয়ত নেশার টাকার জন্য বাবাকে নানাভাবে নির্যাতন করে বখাটে ছেলে সুমন মিয়া। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ছেলে সুমন মিয়া নেশার টাকার জন্য পিতা মাহমুদ আলীকে পেটালে মনের দুঃখে রশি নিয়ে আদমপুর সড়কের একটি গাছের সাথে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেন। এসময় রাস্তা দিয়ে যাবার পথে এলাকার লোকজনের চোখে পড়লে তারা মাহমুদ আলীকে আত্মহত্যার পথ থেকে রক্ষা করেন।

ভুক্তভোগী বাবা মাহমুদ আলী বলেন, ‘ছেলে আমাকে তার মায়ের সহযোগীতায় প্রায়ই মারধর করে। তাই কষ্টে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিলাম।’

এদিকে বাবা আত্মহত্যার চেষ্টার খবর শোনে রাতেই নেশাখোর ছেলে সুমন মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়েছে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ‘ছেলেটা খারাপ। বাবাকে মারধর করার বিষয়ে একাধিক বিচার করা হয়।’

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত