সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৬

বিশ্ব নদী দিবসে সুনামগঞ্জে ইরা’র আলোচনা সভা

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বেসরকারি সংস্থা ইরার আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাকালীন পরিস্থিতি কথা বিবেচনা করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এএলআরডি সহযোগিতায় ও সুনামগঞ্জের ইরার নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান।

সভায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌর কলেজেরে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি ফৌজি আরা শাম্মী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, গবেষক কল্লোল তালুকদার চপল, প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা আহমেদ, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিলুর রহমান প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতে বিশ্ব নদী দিবস বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর প্রধান জেলা হওয়ায় সেখানে প্রতি বছর অনেক রকমের কাজ হাতে নেওয়া হয়। বর্তমানে আমরা সুনামগঞ্জের ৩০০ কিলোমিটার নদী খননের জন্য একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনে অপেক্ষায় রয়েছে এছাড়া আমরা ৯৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে বন্যার একটি প্রভাব প্রতিবছরই তাকে যা এ বছরই হয়েছে তিনবার। যার মূল কারণ নদীর নাব্যতা হারানো ও মানুষের অপব্যবহার।

তিনি আরও বলেন, নদী তার আপন গতিতে চলতে হলে তাকে রাস্তা দিতে হবে কিন্তু তা না করে নদী তীরবর্তী জায়গা দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য করায় নদী তার পথ পরিবর্তন করছে। এছাড়া আমাদের হাওর এলাকাগুলোতে নদীর পাশেই ল্যাট্রিন, নদীতে প্লাস্টিক ফেলা এবং বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় নদী বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বালু পাথর উত্তোলনকারীরা ব্যক্তিস্বার্থে যে বালু পাথর উত্তোলন করে তা কিন্তু নদীর জন্য ক্ষতি। বর্তমানে নদী নাব্যতা বৃদ্ধি না করা হলে বন্যায় হাওরবাসী প্রতিবছর ভুগবে। তাই আমাদের নদী খাল বিল বাঁচিয়ে রাখতে হলে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। নদী তীরবর্তী ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে কলকারখানার বর্জ্য যেনো সরাসরি নদীতে না ফেলা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আমরা বর্তমানে যে প্রকল্প পাঠিয়েছি সেটি বাস্তবায়ন হলে সুনামগঞ্জের মানুষের অনেকটা ভোগান্তি কমে যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত