সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৯

গণধর্ষনের ঘটনায় সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিবাদ কর্মসূচি

‘পরিস্থিতি কোন ভাবেই আর উপেক্ষা করার মত নয়। সিলেটের মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজকে বারবার কলঙ্কিত করার দায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আজ ছাত্রলীগ নামধারী পেটোয়া বাহিনীকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যে, পবিত্র ক্যাম্পাসে আজ গৃহবধূ গণধর্ষনের স্বীকার হয়! আগামীকাল এরা নিজেদের সহপাঠীকে গণধর্ষন করবে।’

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সিলেটের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে হোস্টেলে গত ২৪শে সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষন করার প্রতিবাদে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট নামের নাগরিক সংগঠন এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজন করা এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিমের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে নগরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।

আয়োজকদের পক্ষে মূল বক্তব্যে আব্দুল করিম কিম বলেন, সিলেটের আকাশ আজ বিষণ্ণ। সিলেটের ইতিহাসে এমন বর্বরোচিত ঘটনা আর ঘটেনি। ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ হোস্টেলে ঘটা নারকীয় ঘটনায় নগরের বিবেকবোধ সম্পন্ন সকল মানুষ ক্ষুব্ধ। প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা লজ্জায়-অপমানে মাথা হেট করে রেখেছেন। কিন্তু লজ্জা আমাদের পেলে চলবে না। লজ্জা পেতে হবে তাদেরকে, যারা এসব দূর্বৃত্তকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে ধর্ষক বানিয়েছে।

অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি, মিসফাক আহমদ মিশু, তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, আশরাফুল কবির, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা শাখার নেতা নিরঞ্জন সরকার খোকন, বাসদ সিলেট জেলা শাখার সংগঠক প্রণব জ্যোতি পাল, প্রগতিশীল ছাত্রজোট সিলেট জেলার নেতা সঞ্জয় কান্তি দাস।

এছাড়া সংহতি প্রকাশ করেন গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, ঐতিহ্য সংরক্ষক ডা. শাহজামান চৌধুরী বাহার, সাংস্কৃতিক সংগঠক হুমায়ুন কবীর জুয়েল, আর্ট স্কুল-এর ইসমাইল গণি হিমন, বাসদ মার্কসবাদী পাঠচক্র ফোরাম নেতা নিরঞ্জন সরকার অপু, বাপা-সিলেটের সুপ্রজিত তালুকদার।

কর্মসূচী থেকে ধর্ষক ও তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়। বলা হয়, ডালপালা ছাঁটলে হবে না। বিষবৃক্ষের শেকড় উপড়াতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত