নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৪৮

রনিদের দেখেই ‘ফাঁসি চাই’ বলে শ্লোগান

আদালত চত্বরে জনতার ক্ষোভের মুখে এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ মামলার তিন আসামি

মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিট। কড়া পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও অজ্ঞাত আসামির তালিকায় থাকা রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিনকে। এরা সকলেই এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি। এর মধ্যে রনি মামলার এজাহারভুক্ত দ্বিতীয় আসামি। আদালতে হাজির করার আগেই আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

রনি, রাজন ও আইনুলকে আদালত চত্বরে হাজির করার পর পুলিশী নিরাপত্তার মধ্যেই বিক্ষোভ করেন উপস্থিত জনতা। এই দুই আসামিকে নিয়ে আসার পর আদালতে চত্বরে শতাধিক জনতা জড়ো হন। তারা দুই আসামিকে দেখা মাত্রই ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ শ্লোগান শুরু করেন। ‘কুলাঙ্গারদের ফাঁসি চাই’ শ্লোগান দিতে দেখা যায় অনেককে। তবে পুলিশ তৎপর থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জনতার এই ক্ষোভের মধ্যেই পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে রনি, রাজন ও আইনুলকে সিলেট মহানগর হাকিম ২য় আদালতে হাজির করে। আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক সাইফুর রহমান তাদের ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের মামলার দ্বিতীয় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গত রোববার রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে  ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন, রবিউলকে সোমবার এবং রনি, রাজন ও আইনুলকে আজ মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিলো পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত