সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:১৮

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সাত কর্ম দিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে আহ্বায়ক তিন সদস্যদের এ কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালককে (কলেজ) সদস্য এবং মাউশির সহকারী পরিচালককে (কলেজ-১) কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কোনোরূপ ঘাটতি ছিল কিনা তা সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন। পরবর্তী সময়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ভোরে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী।

বিজ্ঞাপন

পরে অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করে শাহপরান (র.) থানা পুলিশ। পরে সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় এমসি কলেজর দুই দারোয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর ছয়জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, ৩ নম্বর আসামি মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম ও মামলার সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও তার সহযোগী আইনুল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত