নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:০৭

এমসি কলেজের ঘটনায় আমার নাম জড়ানো দুঃখজনক : আজাদ

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবির পাশপাশি তাদের প্রশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করারও দাবি ওঠেছে। এই ঘটনার পর ফের আলোচনায় এসেছে টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের নাম। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও আজাদের নাম উঠে এসেছে।

তবে এই ঘটনার সাথে তার নাম জড়ানোকে দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিটি করপোরেশনের এই কাউন্সিলর।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজের ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। কিছু কিছু সংবাদে অনাকাঙ্খিতভাবে আমার নামও জড়ানো হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, প্রায় ২৬ বছর আগে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে যুবলীগ করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি তারই রাজনীতি করি। আমার কোন গ্রুপ নেই। আমি গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাসীও নই। এমসি কলেজ, ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

আজাদ বলেন, স্কুলে পড়ালেখার সময় থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। এরপর জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালনকালেই ২০০৩ সালে আমি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হই। গত কমিটিতে আমি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে গত ১৭ বছর থেকে আমি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। তাই গত ২৬ বছর থেকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে দূরে। একজন জনপ্রতিনিধি (সিটি করপোরেশনের চারবারের কাউন্সিলর) হিসেবেও আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।

বিজ্ঞাপন



বিবৃতিতে আজাদ আরও উল্লেখ করেন. এমসি কলেজ সংলগ্ন টিলাগড়ে আমার স্থায়ী ও আদি নিবাস হওয়ায় ওই এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোন অপকর্ম করলেই রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করতে মহলবিশেষ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করেন। আমি কখনো কোন অপরাধে মদদ বা অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি। কোন অপরাধীর পক্ষে থানা-পুলিশেও কোনদিন তদবির করিনি। বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছি। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার পর কারা অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করেছে, কাদের সাথে অপরাধীদের যোগাযোগ ছিল তা সনাক্ত করলেই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম বের হয়ে আসবে।

আজাদ আরও বলেন, আমি দৃঢ়কন্ঠে আবারো বলতে চাই, ছাত্রলীগের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমার নামে কোন গ্রুপ নেই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখভাল করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। তাই ছাত্রলীগের ভাল-মন্দ কোন কর্মকান্ডের সাথে আমার নাম না জড়ানোর জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত