নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০১:২৬

টিলাগড় এলাকায় বাড়ি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ : রণজিত

সিলেট নগরের টিলাগড় এলাকায় নিয়মিতই ঘটে নানা অপরাধ কর্মকান্ড। খুন, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি এমন ঘটনা ঘটে প্রয়াশই। এবার টিলাগড় এলাকার খোদ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তরা সকলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এ ধর্ষণকান্ডের পর অপরাধীদের প্রশ্রয়দাতাদের খোঁজে বের করার দাবি ওঠেছে জোরেসোড়ে। কাদের মদদে এরা একের পর অপরাধ করে চলছে তাদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি ওঠেছে।

টিলাগড়ের আরও নানা অপকর্মের মতো এই ঘটনার পরও আলোচনায় এসেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিত সরকারের নাম।

তবে ছাত্রলীগ তার এই সংগঠনের নেতাদের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে রণজিত সরকার বলেন, বিশ বছর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়েছি। টিলাগড় এলাকায় আমার বাড়ি এটাই আমার সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। এটিই আমার অপরাধ। নিজের বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেলেই হয়ত এত অপবাদ থেকে মুক্তি পাবো।

বিজ্ঞাপন



রণজিত সরকার বলেন, আমার জন্য এটা দুর্ভাগ্য যে, এই এলাকার সব অপকর্মেই আমার নাম জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ খেয়াল করে না আমার বয়স বা রুচি সে পর্যায়ে নেই। রাজনীতি করলে অনেকেই ছবি তুলে। তাদের সবাইকে চিনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না। অপকর্মের জন্য কেউ কেউ এসব ছবি ব্যবহার করতে পারে। তবে সেই ছবিই প্রমাণ করে না তারা আমার অনুসারী। অভিযুক্তদের সাথে তার নাম জড়ানোকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন রণজিত।
 
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করেন রণজিত সরকার। তিনি বলেন, যারা আর্দশের রাজনীতি করে তারা ধর্ষক হতে পারে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত