নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৩৩

আদালতে এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলার আসামী মাহফুজ

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মাহফুজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে তাকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে আদালত চত্বরে হাজির করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ।

এর আগে সোমবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলার আসামি গৃহবধূ তরুণী ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নং আসামীকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।

পরে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কানাইঘাট থানা থেকে তাকে সকাল ১০টায় সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর সকাল ১১টার সময় তাকে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে শাহপরান (র.) থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একই মামলায় আরও তিন আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এছাড়া মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রনি, রাজন ও আইনুলকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত ছয়জনসহ এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজাহারে নাম না থাকলেও এই ঘটনার পর থেকে আইনুদ্দিন ও রাজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনুদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে জানিয়েছে। এদিকে আইনুদ্দিন ও রাজনকে সোমবার রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত