নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:০৯

সিলেটে ৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেছেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ৪ অক্টোবর রবিবার শুরু হবে। চলবে ১৭ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত। শিশুর সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন  ‘এ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি।

তিনি বলেন, ভিটামিন  ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোপথ্যালমিয়া’র মত রোগ হতে পারে যাতে করে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন  ‘এ’-এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়। রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় ও ত্বকের শুস্কতা বৃদ্ধি পায়।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সিলেট নগরীর সিভিল সার্জন অফিস-এর ইপিআই সম্মেলক কক্ষে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য বলেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যেহেতু ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা তাই সম্পূরক খাদ্য হিসেবে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। কোভিট- ১৯ প্রেক্ষপটে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খেলে কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তিনি বলেন, এ লক্ষে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নীল ক্যাপসুল ( ১ লক্ষ ইউনিট), ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য লাল ক্যাপসুল (২ লক্ষ ইউনিট) খাওয়ানো হবে।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো: নুরে আলম শামীম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বণিক ও সিলেট বেতারে আঞ্চলিক পরিচালক মো: ফকরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রচেক্টরের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ডা. আমজাদ হোসেন।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এবার সিলেট জেলার ১২টি উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। সিলেট সদর উপজেলা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, বিশ^নাথ উপজেলা, বালাগঞ্জ উপজেলা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, কানাইঘাট উপজেলা, গোয়াইনঘাট উপজেলা, বিয়ানীবাজার উপজেলা, জৈন্তাপুর উপজেলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও জকিগঞ্জ উপজেলায় এ কার্যক্রম  ৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ৬-১১ মাস শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক শিশু ৪৯৬৯৫ জন, প্রতিবন্ধী ১৭৫ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ১২-৫৯ শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক ৪১০৯৬৫ জন শিশু, ৬৮২ জন প্রতিবন্ধী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সিলেট জেলায় স্থায়ী কেন্দ্র ১২টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ২৪১৬টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ১২টি ও মোট কেন্দ্র ২৪২৮টি। ৪৮৫৬ জন সেচ্ছাসেবক এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সভায় বলা হয়, জন্মের পর পরই নবজাতক শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানো, জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সবুজ শাখ সবজি ও হলুদ ফল খাওয়ানো এবং রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সৃমদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করা দরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত