নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০২০ ২২:০৭

রায়হানের বাড়িতে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত দল

বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় ঘটিত পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিলেট এসেছেন। মঙ্গভার (২০ অক্টোবর) তদন্ত দলের সদস্যরা নগরীর আখালিয়ায় রায়হানের বাড়িতে যান।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আয়ুবের নেতৃত্বে রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

রায়হানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান এআইজি মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, এসআই আকবরের পালিয়ে যাওয়ার সাথে আর কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত কী না এ ব্যাপারে তদন্ত করতে আমরা এখানে এসেছি। এ ব্যাপারে রায়হানের পরিবারের কাছে কোনো তথ্য আছে কী না তা জানতেই আমরা এখানে এসেছি। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই আজ আমরা রায়হানের বাড়িতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। দুএকদিনের মধ্যেই এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

বিজ্ঞাপন



এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। তবে মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার থানার ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া পালিয়ে গেছেন। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় আকবর পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আকবরের পালিয়ে যাওয়ার সাথে কারা জড়িত তা তদন্তে কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত