সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৫৪

দক্ষিণ সুরমায় স্বামীর স্বজনদের নির্যাতনে ভিটেমাটি ছাড়া বিধবা

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

দুরারোগ্য ব্যাধি এইচআইভি পজিটিভ (এইডস) হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী স্বামী মৃত্যুবরণ করেন ২০১১ সালে। ততদিনে স্ত্রী সেজনা বেগম ও একমাত্র সন্তান আব্দুর রহমান ইয়াছিরের শরীরেও বাসা বাঁধে এইডস। স্বামীর মৃত্যুর পর দিশেহারা স্ত্রীর ওপর নেমে আসে স্বামী পরিবারের নির্যাতন-নিপীড়ন।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মৃত কাওছার আহমদের স্ত্রী সেজনা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেজনা বেগম তুলে ধরেন তার ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। তিনি বলেন, আমি বিধবা, একমাত্র সন্তানসহ আমি এইডস-এ আক্রান্ত। দানশীল মানুষের সহযোগিতায় কোনরকমে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে তার মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কর্তৃক আমি শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকি। আমাকে স্বামীর ভিটে-মাটি ছাড়াতে তারা উঠে পড়ে লাগে। এ বিষয়ে আমি গ্রাম্য সালিশে বিচার প্রার্থী হই। কিন্তু কোন লাভ হয়নি, আমাকে নির্যাতনকারী আমার স্বামীর পরিবারের লোকজন বিচার মানে না। তারা হুমকি দিয়ে বলে আমার স্বামীর কোন কৃষি জমি নেই, নেই কোন সম্পত্তিও। একপর্যায়ে তারা সন্তানসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেই।

অসহায় সেজনা বেগম স্বামীর ভিটে মাটি ফিরে পেতে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েছেন। আইনি অধিকার পেতে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানায়। অভিযোগে দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মো. মনফর আলীর পুত্র মো. জসিম উদ্দিন, মো. ফয়ছল আহমদের স্ত্রী রুবিনা বেগম, মৃত মিম্বর আলীর পুত্র মো. ফয়ছল আহমদ, মৃত মিম্বর আলীর স্ত্রী জমিলা খাতুন (৬৫)-এর নাম উল্লেখ করে আসামি করেছেন।

চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে থানায় অভিযোগ দায়েরের ৯ মাস পাড়ি দিলেও রহস্যজনক কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন মিয়া নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সেজনা বেগম। শশুড়বাড়ির নির্যাতনের শিকার বিধবা সেজনা বেগম সন্তানকে বুকে নিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর ভিটায় কাটাতে চান। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় চান ন্যায় বিচার এবং স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকার।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত