২১ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৮
শুক্রবার রাতে মিফতাহুর রহমানের সাথে ঝগড়া হয় তার প্রেমিকার। ঝগড়ার পর মেয়েটি একরুমে বসে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটছিলেন। আর ছেলেটি অন্য কক্ষে গলায় ফাঁস দেন।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরের পাঠানটুলা থেকে মিফতাহুর রহমান (৩৫) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি প্রেমিকাকে নিয়ে পাঠানটুলা এলাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। মিফতাহুর আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
মিফতাহুর রহমান দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
এদিকে ওই বাসা থেকেই পুলিশ মিফতাহুরের প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ। পরে শনিবার বিকেলে মিফতাহুরের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে ওই তরুণীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। এর জের ধরে রাতেই কিংবা শনিবার সকালে মিফতাহুর আত্মহত্যা করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
নিহতের চাচা মুহিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হয়া মেয়েটিকে আমরা চিনি না। তাকে আমার ভাতিজার বাসায় পাওয়া গেছে। তাদের বিয়ে হয়েছিলো কী না সেটাও আমরা জানি না। মেয়েটির বাড়ি হচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানা এলাকায়।
মিফতাহুর রহমানকে হত্যা করা হতে পারে বলেও অভিযোগ তার।
সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ওই বাসা থেকে নিহত মিফতাহুর রহমানের প্রেমিকাকে আটক করেছে। তাকে আসামি করে নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তরুণীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তরুণীর মা কয়েকদিন পূর্বে মেয়েকে মিফতাহুর রহমানের বাসায় রেখে যান। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুজন দুই রুমে চলে যায়। মেয়েটি একরুমে বসে ব্লেড দিয়ে হাত কাটছিলো। আর ছেলেটি গলায় ফাঁস দেয়।
আপনার মন্তব্য