শাহ সুমন, কুলাউড়া

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ২১:৫৯

হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে অর্ধেক

ছবি : তারেক অণু

এক বছরের ব্যবধানে দেশের অন্যতম বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পাখির সংখ্যা কমেছে অর্ধেক। ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০হাজার ১২৬টি জলচর পাখির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেলে এ বছর ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারির শুমারিতে ৪৬ প্রজাতির ২৪ পাখির হাজার ৫৫১ টি জলচর পাখির দেখা মিলেছে।

বনবিভাগের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন (আইইউসিএন), প্রকৃতি ও জীবন এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব হাকালুকি হাওরের ৪৬ টি বিলে এবারের শুমারিটি করে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছন শুমারিতে অংশ নেওয়া আইইউসিএন'র মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু। তিনি জানান, শুমারিতে ২৪ হাজার ৫৫১ টি পাখির দেখা মিলেছে তার মধ্যে ৬ হাজার ৪৭২টি বিভিন্ন প্রজাতির হাস।

বিজ্ঞাপন



বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহ সভাপতি তারেক অনু জানান, হাওয়া বন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লারবিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড়খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড়সহ হাওরের ৪৩টি বিলে পাখিশুমারি চলে।

তিনি বলেন, যেভাবে পাখি কমেছে তার পেছনে অনেক কারণ আছে। স্থানীয় মানুষকে সচেতন হয়ে পাখি শিকার বন্ধ এবং তাদের আবাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাখি কমে গেলে মাছও কমে যাবে। যে হাওরে পাখি থাকে না প্রাকৃতিক নিয়মে সেখানে মাছও হবে না।

আইইউসিএন'র মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু  জানান, সব চেয়ে বেশী ৮ হাজার ৩৮৯ টি পাখির দেখা মিলেছে হাওর খাল বিলে। পাখি কমে যাওয়ার কারণে হিসেবে পরিবেশের ভারসাম্য না চিন্তা করে মাছ ধরা এবং  হাওর শুকিয়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন।

বিজ্ঞাপন



বাংলাদেশ বার্ডক্লাবের তথ্য অনুসারে, ২০১৭সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৮১টি। ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় ৪৫হাজার ১শ’টি। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৯৩১টিতে।  ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০হাজার ১২৬টি পাখির দেখা মিলে।

পাখি শুমারিতে অংশ নেন- বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু, আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু এবং আইইউসিএন বাংলাদেশের অনান্য গবেষকরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত