নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৩:১৮

শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটছিল লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটি

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুর সেতুর কাছে দুর্ঘটনা আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটি শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটছিল। বাসটির চালক বেপরোয়া গতিতে বার বার ওভারটেক করছিলেন সড়কে চলা অন্য গাড়িগুলোকে। পরে সকাল সাতটার দিকে রশিদপুর সেতুর কাছে এসে দুর্ঘটনায় পড়ে বাসটি।

লন্ডন এক্সপ্রেসের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বার বার গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করছিলেন। কয়েকবার আমরা সতর্ক করার পরও চালক আমাদের কথা শুনেননি। যে কারণে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুর সেতুর কাছে সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী এনা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই বাসে থাকা ৮ যাত্রীর মৃত্যুর খরব নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ভুল সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা গাড়ির উপর উঠে যায়। এসময় প্রচণ্ড গতিতে এনা বাসের সঙ্গে লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, লন্ডন এক্সপ্রেস গাড়িটি রাস্তার ভুল দিকে এসে এনা বাসকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুল বলে মনে হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিলো না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে এনা গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। অথবা লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। বিষয়টি পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল টার দিকে সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও ঢাকাগামী এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১) মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ মারা যান। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সালমান খান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল আমিন (৫০), সাগর (১৯), সিলেটের ওসমানী নগরের মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু(৩৫), একই উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), ডা. ইমরান খান রুমেল ও সিলেট নগরের আখালিয়ার শাহ কামাল (৪৫) ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার  রহিমা বেগম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত