বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২১ মার্চ, ২০২১ ২১:২০

বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ইমরান আহমদ সায়মন (২২) নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী খুন হয়েছে। তিনি পৌর শহরের জানাইয়া (দক্ষিণ মসুলা) গ্রামের মছলন্দর আলী মছনের ছেলে এবং গ্রামের ‘নাদিয়া এন্ড তায়েফ ভেরাইটিজ স্টোর’র পরিচালক।

শনিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে পৌর শহরের জানাইয়া রোডের শুকুর আলীর বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সায়মনের সহপাঠি ফয়েজ আহমদ (১৯)। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

হামলকারী দু’জন ছিলেন এবং তারা জানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন সায়মনের অপর সহপাঠি একই গ্রামের মছব্বির আলীর ছেলে লায়েক আহমদ।

ওই দু’জনকে চিহ্নিত ছিনতাইকারী দাবি করে লায়েক আহমদ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাত ৮টারদিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে বিশ্বনাথ বাজারে যান সায়মন। রাত পৌনে ১০টারদিকে তিনি (লায়েক), সায়মন (২২), তারেক (১৪) ও ফয়েজ (১৯) তারা ওই চার সহপাঠি এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় উপজেলা মসজিদের সামন দিয়ে জানাইয়া রোডের শুকুর আলীর বাসার সামনে যাওয়া মাত্রই একই গ্রামের মনোহর আলী গেদাইর ছেলে এনাম আহমদ (২৫) ও তার সহযোগী একই গ্রামের মস্তাব আলীর ছেলে তাহিদ আলীকে (২২) নিয়ে তারা তাদের গতিরোধ করে ছিনতাইর চেষ্টা চালায়। এসময় বাঁধা দিলে দস্তাদস্তি  শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে এনাম সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় সায়মনকে বিশ^নাথ নতুন বাজারের সন্ধানী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানেই থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

একই বক্তব্য দিয়েছেন নিহত সায়মনের নিকটাত্বীয় একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাক্তণ মেম্বার নরুল হক। তিনি বলেন, লাশ দাফন শেষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) শামীম মুসা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছিনতাই ছাড়া অন্য আর কোন ঘটনা আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছেও বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত