সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৭:১০

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শনিবার, সিভিল সার্জন’র মতবিনিময়

সারা দেশের ন্যায় সিলেটও আগামী ১৪ নভেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৫ (২য় রাউন্ড) উদযাপন উপলক্ষে আজ দুপুরে সিলেটের সিভিল সার্জনের হল রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান।

সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল ও অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্য প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হয়। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

তিনি আরও জানান, ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ইউনিসিইএফ এর ডা. সাদি, ডা. নভোজতি দেব। সভা পরিচালনা করেন সিভিল সার্জনের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহিল।

উল্লেখ্য, সকল কেন্দ্র ঐদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এটি নিরাপদ এবং এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই। যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে ক্যাম্পেইনে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে খাওয়ানো যাবে না। কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে। দেশের যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। ভ্রমণে থাকাকালেও রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট, লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থিত টিকাদান কেন্দ্র থেকেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অবশ্যই শিশুদের ভরাপেটে খাওয়াতে হবে।

সিলেট জেলার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন পালনের কিছু তথ্য নিম্নে দেয়া হলো। সিলেট জেলার মোট জনসংখ্যা ২৯৭৮৫৭৫জন, মোট অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৪১৬ট, মোট স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১২টি, মোট অতিরিক্ত কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৯টি, মোট ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৬টি, মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৬৩টি, মোট স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৬৮৬০জন, সিলেট জেলার (৬-১১) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা ৪৭,৫৬৩জন, (১২-৫৯) মাস বয়সী শিশুর মোট সংখ্যা ৩,৯৬,৪৮৬ জন (৬-১১) মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর মোট সংখ্যা ১৭৫জন ও (১২-৫৯) মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুর মোট সংখ্যা ৬৮২ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত