বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ১৯:১৪

বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে আহত ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ হোসেন জুয়েল ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের ২৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। অজ্ঞাত আসামী আরও ৭/৮ জন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের দাসগ্রামের সুমন আহমদ, বাউরভাগের মাছুম আহমদ, নয়াগ্রামের শাহেদ আহমদ, শ্রীধরার বাবুল আহমদ ওরফে কালা বাবুল, নিদনপুরের সিদ্দিক আহমদ, ইমন আহমদ ও এমদাদুর রহমান, শ্রীধরার নাসির উদ্দিন, নিদন পুরের শামীম আহমদ, কোনাগ্রামের ছাব্বির আহমদ, নিদনপুরের জাফর আহমদ, দাসউরার জামিল আহমদ, লাউতার রিপন পদকর, সারপারের হিফজুর রহমান, মোল্লাগ্রামের জিবান আহমদ, সুপাতলার ফাহিম আহমদ, মোল্লাগ্রামের জাকরিয়া ও সাজু উদ্দিন, সুপাতলার কামরুল ইসলাম, নিদনপুরের সুলতান আহমদ, জলঢুপের বাশার উদ্দিন, দুবাগের কাশেম আহমদ, পাতনের এমিল আহমদ, চারখাইয়ের সায়দুল ইসলাম, বড়দেশের মিজানুর রহমান, বড়লেখার চান্দ্রগ্রামের ছাদেক আহমদসহ আরও ৭/৮জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্ব বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে ১১টার দিকে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পল্লব এবং পাবেল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের অতর্কিত হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে ছাত্রছাত্রীসহ ১০ জন আহত হন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের ৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ ভর্তি করা হয়।

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে উপজেলা ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের কর্মী উজ্জলকে মারধর করে উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। এতে উজ্জল আহত হয়। এরই জের ধরে গত শনিবার পল্লব গ্রুপের কর্মীরা পাভেল গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুবের আহমদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় গ্রুপ যাতে আবার সংঘর্ষে জড়াতে না পারে সেজন্য পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার সাথে যারা জড়িতদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত