১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১২:৪৮
শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন শেষে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৪ আসামীকে। প্রিজন ভ্যানে তোলার পরই চিৎকার শুরু করেন আব্দুর রাকিব। চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, 'সব বিএনপি জামায়াতের চক্রান্ত, ওলামা লীগকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে।'
আব্দুর রকিব সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক। আদালতে তিনি সাঈদ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন। জবানবন্দি দেওয়া অন্য আসামীরাও হত্যার সাথে আব্দুর রকিবের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন।
আজ আব্দুর রকিবসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের পরপরই একে 'ওলামা লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র' বলে আখ্যায়িত করেন আব্দুর রকিব।
এই হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের মধ্যে জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুমও রয়েছেন।
এদিকে, মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য সকালেই আদালতে তোলা হয় এজাহারভূক্ত ৪ আসামীকে। এসময় মিডিয়ার কর্মীরা আসামীদের ছবি তুলতে গেলে ক্ষেপে যান পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা। মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে গেদা বলেন, 'আমার স্ত্রী-সন্তানদের থানায় আটকে রাখা হয়েছিলো। নির্যাতন করা হয়েছিলো। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। আজ আমাদের ছবি তুলতে এসেছেন।'
মঙ্গলবার সকালে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক আব্দুর রশীদ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযুক্ত অপর আসামী হলেন বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল। গত ১৪ মার্চ পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরআগে চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আপনার মন্তব্য