কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৯ জুলাই, ২০২১ ১৮:৪৭

কমলগঞ্জে জুয়েল হত্যা: তিন আসামি কারাগারে

দীর্ঘ ২৮ দিন পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের জুয়েল হত্যা মামলার ৩ আসামি মৌলভীবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে।

সোমবার (১৯ জুলাই) আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরআগে গত ২১ জুন সকালে কয়েকজন সিএনজি অটো চালকদের কিল ঘুষির আঘাতে মাটিতে পড়ে নিহত হয় শমশেরনগর বাজারের জায়েদা টাওয়ারের মালিক জুয়েল আহমেদ (৪৫)।

মৌলভীবাজার আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৯ জুলাই) সিলেট আদালতের আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে জুয়েল হত্যা মামলার আসামি সিএনজি অটো চালক শারফিন মিয়া, আহমদ আলী ও ইসমাইল মিয়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ৩ নং আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ হাকিম সালেহ আহমেদ এর আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, শুনেছি সোমবার আদালতে উঠে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন আসামিরা। পরে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

নিহত ব্যবসায়ী জুয়েল আহমেদের স্ত্রী বুশরা বেগম বলেন, ঘটনা ও মামলার পরও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের নিয়ন্ত্রণে থেকে অবশেষে সিলেটের একজন আইনজীবী নিয়োগ করে রীতিমত পরিকল্পনা করেই সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রভাবশালী মহলটি ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পরিবর্তনেরও অপচেষ্টা করছেন। তিনি স্বামী হত্যার সুবিচার প্রার্থনা করেন।

উল্লেখ্য, বন্ধু মুকুল মিয়ার ছেলেকে সিএনজি অটোচালক আহাদ মিয়ার ছেলে মুন্নার নেতৃত্বে মারপিট করা হয়েছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ২১ জুন সকাল সোয়া ১২ টায় প্রতিপক্ষের হয়ে সিএনজি অটোচালক শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে একদল সিএনজি অটোচালক অতর্কিতে এসে জুয়েল আহমেদকে কিল ঘুষি মারলে ঘটনাস্থলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত