তাহিরপুর প্রতিনিধি

০১ আগস্ট, ২০২১ ২০:১৪

‘কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে চাকরি থাকবে না’

চাকরি বাঁচাতে হাওর পাড়ের গার্মেন্টস কর্মীরা রাজধানীমুখী

ঈদুল আযহার পূর্বে শহর ছেড়ে হাওর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামে আসা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত গার্মেন্টস কর্মীরা গত দু-দিনে আবারও চাকরি বাঁচাতে রাজধানীতে ফিরছেন। চালু হওয়ায় পোশাক কারখানাগুলোতে যোগ দিতে যারা গতকাল শনিবার যেতে পারেননি তারা আজ রোববারও ছুটছে বিভিন্ন যানবাহনে করে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওর পাড় থেকে গত দু দিনে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক শ্রমজীবী মানুষ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে রাজধানীমুখী হয়েছেন।

জানা যায়, শনিবার উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে রাজধানী ঢাকা থেকে রির্জাব নিয়ে আসা ১৪টি বাসে গাদাগাদি করে রাত ১০টার পর ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করে ২ হাজারের অধিক মানুষ। সবাই গার্মেন্টস কর্মী। এছাড়াও নৌকায়, মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস করে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গার্মেন্টস কর্মীরা শহরমুখী হচ্ছেন আজও।

লডাউনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে (৫ আগস্ট)১২টা পর্যন্ত। এর পূর্বে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। এই সুযোগে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার জন্য শহর ছেড়ে ছোটে আসে গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। কর্মস্থল চালু হওয়ায় এখন তারা ছুটছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে।

গার্মেন্টস কর্মী দিলারা বেগম জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ১৪দিনের লকডাউন দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ছুটি দিয়েছে মাত্র সাতদিনের। তাই সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও জীবন ঝুঁকি নিয়ে গ্রাম ছেড়ে হতে হচ্ছে শহরমুখী।

আরেক গার্মেন্টস কর্মী কয়েছ আহমদ জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে আমাদের চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। পেটের ক্ষুধার কাছে করোনাভাইরাস কিছুই না। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও আমাকে কর্মস্থলে যেতে হবে।

শরীফ মিয়া জানান, ঈদের ছুটিতে সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। জেলার অভ্যন্তরীণ পরিবহণ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি,অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে কয়েকগুণ বেশী ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে নিজ নিজ বাড়িতে এসেছিলাম। এখন কর্মস্থলে যেতে হবে আগের মত করে খরচ বেশি হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত