বড়লেখা প্রতিনিধি

২২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৮:২৮

সিলেট থেকে চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার : গ্রেফতার ৩

মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশের অভিযানে সিলেট থেকে সিএনজি চালিত একটি চোরাই অটোরিকশা (সিলেট-থ-১১-৬০৮৭) উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার বড়লেখা থানার এসআই অমিতাব দাস তালুকদার অভিযান চালিয়ে একজনকে বড়লেখা পৌর শহর থেকে ও অন্য দুই চোরকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউপির দোহালিয়া গ্রামের মৃত রবই মিয়ার পুত্র রুহেল আহমদ রুবেল (২০), মৌলভীবাজার সদর থানার সাধুহাটি গ্রামের মৃত আলম উল্লাহ্র পুত্র সুহেল আলম (৩০), বিশ্বনাথ থানার দেউকলস কান্দিগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আমির আলী (৩৬)।

বড়লেখা থানা পুলিশ ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মাধবগুল গ্রামের হাবিব আলীর ছেলে আকবর আলীর গ্যারেজ ভেঙে চোরেরা অটোরিকশা (মৌলভীবাজার-থ-১১-৮৯৪৭) চুরি করে। এ ঘটনায় আকবর আলী চিহ্নিত চোর একই গ্রামের আবদুল মুহিত ও দক্ষিণভাগের দোহালিয়া কুইয়ারী টিলার সমছু মিয়ার ছেলে আবদুস সহিদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল মুহিত, আব্দুস সহিদ ও জুনেদ আহমদ নামের তিন চোরকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার হওয়ার আগে তিন চোর আকবর আলীকে চুরি যাওয়া অটোরিকশার সন্ধান দিতে পারবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা নেয়।
এরই মধ্যে শনিবার এ মামলার আরো এক সন্দেহভাজন আসামী উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউপির দোহালিয়া গ্রামের মৃত রবই মিয়ার পুত্র রুহেল আহমদ রুবেলকে পৌর শহর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সিএনজি অটোরিকশা চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ সিএনজি চালিত একটি চোরাই অটোরিকশা (সিলেট-থ-১১-৬০৮৭) উদ্ধার এবং সুহেল আলম ও আমির আলীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রুহেল আহমদের বিরুদ্ধে দস্যুতাসহ একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান অটোরিকশা উদ্ধার ও চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বড়লেখাসহ মৌলভীবাজার জেলার সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্যরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে অটোরিকশা (সিএনজি) চুরি করে। পরে চোরচক্র মালিকদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে সিএনজি ফেরত দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া তারা চোরাই গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশন পরিবর্তন করে অন্যত্র বিক্রি করে। এ চক্রকে চিহ্নিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত