সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০২১ ২২:৪৯

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও হামলা মামলার অভিযোগ

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

মো. দেলওয়ার হোসেন ডেভিড একজন শিক্ষা মনিটর কর্মকর্তা। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আপন চাচাতো ভাইদের ভূমি দখল, মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং হামলা করে আসছেন। এমন অভিযোগ করেছেন তারই আপন চাচাতো ভাই সিলেট নগরীর শেখঘাটস্থ শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে শওকত আলী বেলাল।

সোমবার (২ আগস্ট) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমার আপন চাচাত ভাই মো. দেলওয়ার হোসেন ডেভিড একজন শিক্ষা মনিটর কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিসে চাকুরি করায় তিনি সবসময় আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। তাই আমরা কখনো প্রতিবাদ করতে পারি না। কিছু বললেই তিনি পুলিশ ডেকে আনেন, মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। কিছুদিন আগে আমাদের উপর চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে আমাকে জেল পর্যন্ত খাটিয়েছেন। শুধু আমি নই, আমার ছোট ভাইয়েরাও বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। তিনি সবসময় নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা বলে আমাদের হুমকি ধমকি দেন এবং ক্ষমতার দাপট দেখান।

সংবাদ সম্মেলনে শওকত আলী বেলাল অভিযোগ করে বলেন, দেলওয়ার হোসেন ডেভিড আমাদের পঞ্চাশ লাখ টাকা মূল্যের মৌরসি মালিকানাধীন ভূমি নিজ দখলে রেখে টিনের বেড়া দিয়ে ভিতর দিকে পাকা বাউন্ডারি ও ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে আসছেন। দেলওয়ার হোসেন ডেভিড ও তার ভাই ফজলু মিয়াসহ তাদের পরিবারের অন্যরা আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দেন।

তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডেভিড মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আমাদের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে আমিও সাধারণ ডায়রি করি। দেলওয়ার হোসেন ডেভিড এর দায়েরকৃত জিডি এন্ট্রির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দেলওয়ার হোসেন ডেভিডকে দেওয়াল নির্মাণ কাজে বাধা নিষেধ প্রদান করেন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিকন্দর আলীসহ ১২নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়েত কমিটিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন বলেও জানান বেলাল।

তিনি বলেন, কিন্তু ডেভিট মুরব্বীদের মানেননি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পঞ্চায়েত কমিটি এ বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর উভয় পক্ষকে বিচারে উপস্থিত থাকার জন্য বললে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বিচারে সম্মতি প্রকাশ করি। কিন্তু দেলওয়ার হোসেন ডেভিড তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় বিচার অমান্য করেন। তখন তিনি আমাদের দেখে নেবেন বলে হুশিয়ারি দেন। এ সময় তার সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির পর দেলওয়ার হোসেন ডেভিড মিথ্যার আশ্রয় নিয়া আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় তিনি চাঁদাবাজি, টাকা পয়সা ছিনতাই ও মারপিটের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার এমন মিথ্যাচারে এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানান।

মামলার এজাহারে ডেভিড উল্লেখ করেন, ঘটনাকালে তার পরনের জ্যাকেট এর পকেটে নগদ ৯০ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু সি.সি. ফুটেজে দেখা যায় ঘটনার সময় ডেভিড এর পরনে ছিল লুঙ্গি ও নরমাল পকেট বিহীন গেঞ্জি। সঠিকভাবে তদন্ত ছাড়াই মামলা আমলে নিয়ে আমাদেরকে উক্ত মিথ্যা মামলায় জেল কারাগারে পাঠান! ওই মামলায় দেলওয়ার হোসেন ডেভিড তার ৭ বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণ করার কথাও উল্লেখ করেছের। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, ওই হামলার ঘটনায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জখম হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় দেলওয়ার হোসেন ডেভিড গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। শওকত আলী বেলাল তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত