নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ আগস্ট, ২০২১ ০২:১১

ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যায় মামলা, সুলতানাকে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ

সিলেটে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাসে শিশু নাবিল আহমদ হত্যার ঘটনায় আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলাটি করেন থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম মন্ডল।

ওই মামলায় আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সুলতানার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায়।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ সিলেটটুডেকে বলেন, ‘হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাকে (আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা) জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’

ওসি জানান, শিশু নাবিলকে দেড় মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে নগরীর বাগবাড়ী এলাকার ছোটমণি নিবাসে নেওয়া হয়। সে প্রতিবন্ধী এক নারীর সন্তান ছিল। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ জুলাই রাত ১১টার দিকে ছোটমণি নিবাসে শিশু নাবিল কান্নাকাটি করছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দায়িত্বে থাকা আয়া সুলতানা। এ সময় সে বিরক্ত হয়ে নাবিলকে বিছানা থেকে তুলে ছুড়ে ফেলে। খাটের স্টিলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় শিশুটি। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে আয়া সুলতানা। ঘটনা আড়াল করতে পরদিন অসুস্থতায় নাবিলের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে কর্তৃপক্ষ। ওইদিনই ময়নাতদন্তের পর শিশুটির লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু শিশুটির মৃত্যু নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর থেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল।

ঘটনার ১৯ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানা পরিদর্শন করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তাকে নাবিলের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানানো হলে অন্যদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি। ছোটমণি নিবাসের সিসিটিভির ফুটেজ যাচাই করলে রোমহর্ষক হত্যার ঘটনাটি বেরিয়ে আসে। এ সময় হত্যার অভিযোগে আয়া সুলতানাকে আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিবাস চন্দ্র দাশ বলেন, ঘটনার পরপরই শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত এখনও চলমান আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত