কুলাউড়া প্রতিনিধি

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০৯

চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করতে গিয়ে শ্রীঘরে দুই যুবক

চোরাইকৃত বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল বিক্রি করতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ক্রেতাকে দেখতে নিয়ে গেছিলেন কামরুল ইসলাম নামে এক যুবক। তখন মোটরসাইকেলটির মূল মালিক সিলেট থেকে ৮ মাস আগে তার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি একজন স্বজনের মাধ্যমে চিহ্নিত করেন। এ সময় মোটরসাইকেলটি বিক্রি করতে আসা যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ওই যুবকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চুরির সাথে জড়িত মামুনুর রশীদকেও আরেকটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করেন।

আটককৃত দুই যুবক জেলার জুড়ী উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত তৈমুছ আলীর পুত্র কামরুল ইসলাম (২০) ও বড়লেখা উপজেলার উত্তর সুজানগর গ্রামের মাতাবুর রহমানের পুত্র মামুনুর রশীদ (২৭)। আটককৃতদের রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) মোটরসাইকেল চুরির মামলায় মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জালালাবাদ এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমদ সোহাগের ব্যবহৃত বাজাজ পালসার মোটরসাইকেলটি চুরি হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে । প্রায় ৮ মাস পর গত শনিবার বিকেলে আটক কামরুল ইসলাম একটি পালসার মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়ায় নিয়ে যায় শামীম আহমদের স্বজন শিপু মিয়ার কাছে। শিপু মিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে কুলাউড়ায় গিয়ে মোটরসাইকেলটি তার বলে নিশ্চিত হোন শামীম। পরে কামরুলকে আটক করে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক কামরুল তার সহযোগী মামুনুর রশীদ মোটরসাইকেলটি চুরি করে এনে দিয়েছে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে কুলাউড়া থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান শনিবার রাতে বড়লেখার রতুলীবাজারে অভিযান চালিয়ে মামুনুরকে আটক করেন। এ সময় তার কাছে থাকা আরেকটি চোরাইকৃত বাজাজ ডিসকভার সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এস আই হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল ও মামুনুর মোটরসাইকেল দুটি চুরি করার কথা স্বীকার করেছেন। বাজাজ পালসার মোটরসাইকেলটির মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, মামুনুর ও কামরুলের কাছ থেকে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত