মো. বেলাল হোসাইন, জুড়ী

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৩৭

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা জুড়ীর সীতাকুন্ড ঝর্ণা

সুনীল আকাশ, গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতো মনোরম  দৃশ্যে যে কেউ মনের গহীনে হারিয়ে যাবে আপন মনে।

বর্ষা মৌসুম কিংবা বৃষ্টির দিনে পাহাড় থেমে নেমে আসা ঝর্ণায় অনায়াসে আনন্দ দিতে সহায়তা করবে আপনাকে। পাহাড়ি আকাঁবাকা রাস্তা দিয়ে প্রায় ১কিমি   দূরত্বে হেঁটে ঝরণার পাশে গেলে মনে প্রশান্তি চলে আসবে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত এই রকম একটি ঝর্ণার সন্ধান পাওয়া গেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়।

স্থানীয়রা একে সীতাকুণ্ড ঝরণা নামে অভিহিত করেন। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করতে পারে এই ঝর্ণা। অপেক্ষাকৃত কম উচ্ছতার এই জলপ্রপাতটির স্বচ্ছ জলে গোসল আর নির্ভয়ে কাছে যাওয়ায় সুযোগটাই ভ্রমণ পিপাসুদের বেশি আকৃষ্ট করবে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের শেষ প্রান্ত আর বড়লেখার সমনভাগ বন বিটের অন্তগর্ত জামকান্দি ঝর্ণাটি অবস্থিত। লোক মূখে সীতাকুণ্ড ঝর্ণা শুনে অনেকে এসেছেন ঝরণায় গোসল করে আনন্দ উপভোগ করতে।  

এই পাহাড়ি ঝর্ণাটি ইতোমধ্যে মানুষের মধ্যে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। বন বিভাগের সংরক্ষিত উঁচু পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোত বয়ে চলছে নিচের দিকে। মূল জলপ্রপাত এলাকায় পৌঁছার আগে পাহাড়ী ঝরণার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর পাহাড়ি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক বিমোহিত করে। ছোট রাস্তার দুই পাশে উঁচু নিচু পাহাড়ের সংরক্ষিত সেগুনে মুগ্ধ করবে যে কাউকে।

স্থানীয়দের ধারণা মতে, পাহাড়ি ঝর্ণার উৎপত্তি ভারত থেমে। কারণ বড় এই পাহাড় অপারের অংশ ভারত। তার উৎপত্তিস্থল সঠিকভাবে বের করতে হলে ঝর্ণা ধরে যেতে হবে সীমান্তের ওপারে ভারতে।

ভ্রমণ করতে আসা কাউছার, সারোয়ার, রায়হান জানান, অনেক জায়গা হেঁটে এখানে আসতে হয়েছে। আমাদের উপজেলায় যে এত সুন্দর ঝর্ণা আছে আগে জানতাম না। এখানে এসে না দেখলে যে কেউ এর সৌন্দর্য মিস করবে।

স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ূন রশীদ রাজি, সাইফুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি হলে ঝর্ণা তার সৌন্দর্যের রূপ প্রকাশ করে। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে সেখানে আনন্দ উপভোগ করতে।

স্থানীয় পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ জানান, এই ঝর্ণা সহ আরেকটি ধরণা রয়েছে আমাদের পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসে। রাস্তাঘাটের সমস্যা হওয়ায় অনেকে আসতে কষ্ট হয়। পর্যটন স্থান হিসেবে এগুলো স্বীকৃতি পেলে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে ও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত