নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২৮

পিচঢালা নাকি মাটির সড়ক!

সারা সড়কজুড়ে কাদার ছড়াছড়ি। দেখে বুঝার উপায় নেই এটি একটি পিচঢালা সড়ক। প্রায় আধা কিলোমিটার পিচঢালা সড়কের একটু পিচও কোথাও দেখা যায় না।

কয়েকদিন ধরেই সিলেট নগরীর কেওয়াপাড়া ও মুন্সিপাড়া এলাকার সড়কের এই বেহাল দশা। সড়কটি এতই কর্দমাক্ত হয়ে গেছে যে অপরিচিত কেউ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করলে নিশ্চিত মনে করবেন এটি মাটির সড়ক। অতিরিক্ত কর্দমক্ত হওয়ার কারণে নগরীর মুন্সিপাড়া ও কেওয়াপাড়া সড়কটি গত রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার শতাধিক পরিবার। প্রায় একই অবস্থা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মিরেরময়দান সড়কের।

এলাকাবাসী জানান, নগরীর মিরেরময়দান এলাকাস্থ সিলেট জেলা পুলিশ লাইনে একটি বিল্ডিংয়ের কাজ হচ্ছে। এই বিল্ডিংয়ের পাশে নিচু জায়গা ভরাট করা জন্য কেওয়াপাড়া এলাকার সড়ক ও মিরেরময়দান সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রায় দুই মাস যাবত মাটি আনা হচ্ছে পুলিশ লাইনে। তাই এতদিন ধুলাবালিতে অতিষ্ট ছিলেন এই এলাকার বাসিন্ধারা। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির কারণে এখন এই সড়কগুলো কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন এই সড়ক ব্যবহারকারী প্রায় শতাধিক পরিবার। পাশাপাশি এই এলাকায় রয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই এই এলাকার বাসিন্ধাসহ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরও পড়েছেন বিড়ম্বনায়।    

কেওয়াপাড়া এলাকার মুরব্বি নোমান চৌধুরী বলেন, আমরা সাংঘাতিক খারাপ অবস্থায় আছি এই সড়ক নিয়ে। সড়কটিতে কাদা বেশি হওয়ায় অনেক দুর্ঘটনা হচ্ছে। তাই সড়কটি বন্ধ করা হয়েছে। আজ এলাকার বাসিন্ধারা মিলে কিছু পরিষ্কার করেছেন। কিন্তু ব্যাপারে এলাকার কাউন্সিলর কোনো সহযোগিতা করছেন না।

কেওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্ধা মো. সুমন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়ক নিয়ে আমরা কষ্টের মধ্যে আছি। পুলিশ লাইনের ভিতরে যে কাজ চলতেছে এর জন্য এই সড়ক ব্যবহার করে ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া হয়। এরজন্য র্দীঘ দুইমাস ধরে আমরা ধুলাবালিতে অতিষ্ট ছিলাম। এখন বৃষ্টিতে পুরো সড়ক কর্দমক্ত হয়ে গেছে।

এ ব্যপারে জানাতে এলাকার মুরব্বিরাসহ পুলিশ লাইনে গিয়ে বলা হয়েছে। তারা আমাদেরকে বলেছেন, এটা পুলিশের কাজ, পুলিশ যেসময় ইচ্ছা সেসময় করাবে। তাদের কাছে কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমরা এলাকার মানুষজন মিলে সড়ক পরিস্কার করাচ্ছি। এলাকার কাউন্সিলর এখানে আসলেও এ ব্যপারে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।    

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমার জানামতে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই কাজটি মহানগর পুলিশের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। তারপরও আমি দেখছি কিভাবে এই সমস্যা দূর করা যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত