রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

১৩ মে, ২০২২ ২২:২০

এক সড়কের কারণে দুর্ভোগে ৮ হাজার মানুষ

বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জগন্নাথপুরে শ্রীরামসী রাস্তার মুখের সড়কটির অধিকাংশ স্থানের পিচও কার্পেটিং উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রী সাধারণকে।

শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে ও মাটি দেবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের ধীরগতি নীতিকে দায়ী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি যথাসময়ে সংস্কার করা হলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। তাদের দাবি, এখন একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে ডুবে যায়।

মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাহবুব হোসেন জানান, জগন্নাথপুর -শ্রীরামসী রাস্তার মুখ সড়কে প্রতি বছর বর্ষার শুরুতেই আমরা গ্রামের তরুণেরা মিলে রাস্তার সংস্কার কাজ করি। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করি। এবারও শ্রীরামসী গ্রামের সকলের সহযোগিতায় আমরা কয়েকজন তরুণ গর্তগুলো ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করছি।

সরেজমিনে দেখা যায় নয়াবন্দর, করিমপুর, শাহারপাড়া, কুড়িকার, জালালাবাদ, শ্রীরামসী গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক। সড়কে টানা বৃষ্টি হলে রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়। এবার বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে চাকরিজীবী, ছাত্র, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে সময়মতো উপজেলা সদরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জগন্নাথপুর শ্রীরামসী রাস্তার মুখ সড়কে রাস্তায় পিচও কার্পেটিং উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কের পানি জমে থাকা স্থানগুলোতে কাদা ও পানি এক হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই ইজিবাইক, মোটর সাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।

শ্রীরামসী গ্রামের কলেজ ছাত্র তানজির আলম তামিম বলেন, প্রতিদিন জগন্নাথপুর আসতে হয়। রাস্তা ভালো না থাকাতে বেশ সময়মতো কলেজে পৌঁছাতে পারি না।

জগন্নাথপুর উপজেলার ৩নং মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীন বলেন, কিছুদিন হলো অত্র ইউনিয়নের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। খুব শীঘ্রই টেন্ডার হবে শ্রীরামশী রাস্তার মুখের সংস্কারের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত