সিলেটটুডে ডেস্ক:

২২ জুন, ২০২২ ২২:৫৬

মাধবপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বুধবার গ্রামের আঞ্চলিক সড়ক ও কাঁচা রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার প্রায় এক শ’ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।

পানি ওঠায় ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয়েছে। বন্যার ফলে শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন গবাদিপশু, ধান, চাল ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলছেন। তবে নৌকা সংকটের কারণে মালামাল সরানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি তলিয়ে গেছে।

মাধবপুরের বাঘাসুরা, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, বুলতা, আদাঐর ও আন্দিউড়া ইউনিয়নের ভাটি এলাকার ৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়দের দাবি, এবারের বন্যায় বিগত বছরের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সোনাই নদীর পানি বেড়ে খুটানিয়া দিঘীর পাড় ও সুলতানপুর এলাকার একাধিক স্থানে নদীর পাড় পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রে একশ’ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

বুলতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ইউনিয়নের প্রায় গ্রামের সব কটি বসতবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। সব রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আন্দিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে জনগণকে বন্যা মোকাবেলার করার জন্য বলা হয়েছে।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ১৮শ’ হেক্টর বোনা আমন, ১৭শ’ হেক্টর রোপা আউশ এবং দুইশ’ হেক্টর সবজি পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, দিন দিন পানি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১১টি ইউনিয়নে ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসা দিতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে একশ’ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত