নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪২

কেন ধোপাদিঘীরপাড়ের ল্যাম্পপোস্ট খুলল কারা কর্তৃপক্ষ?

সিলেট নগরীর নান্দনিক ধোপাদিঘীপাড়ের ল্যাম্পপোস্ট কারা কর্তৃপক্ষ খুলে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট সিটি করপেরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

মঙ্গলবার(৫জুলাই) দুপুরে নগরীর ধোপাদিঘিপাড়ে নবনির্মিত ওয়াকওয়ের একটি ল্যাম্পপোস্ট মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সিসিক মেয়রের অভিযোগ, কারা কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা এটি ভেঙে ফেলেছে।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সকালে হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট ভাংচুর করে। এখানে কাজে থাকা শ্রমিকরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে দ্রুত এখানে চলে আসি। আমি বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।


এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্য সরকারী প্রতিষ্ঠান যদি নিতে হয় তবে আলোচনার মাধ্যমে নিতে হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন যদি কারা কর্তৃপক্ষের কোন জায়গা নিতে চায় তবে অনুমতি নিতে হবে।’

ডিআইজি প্রিজন বলেন, ‘সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ এখনও কিছু আসামী কারাগারে আছে। কারাগারে কার্যক্রম চলমান আছে। আর এখানে কোন স্থাপনা তৈরি করতে হলে অবশ্যই সরকারে অনুমতি লাগবে। এখন হয়তো কোন খুঁটি উনারা (সিসিকি) স্থাপন করতে গেছেন। আমার ডেপুটি জেলার সেখানে ছিলেন এবং তিনি সেখানে কথাবার্তা বলেছেন। এখন আমাদের জেল সুপার সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। মোটামুটি বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’


সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়। সৌন্দর্যবর্ধণ কাজ শেষে গত মাসে এটি জনসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত