সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:৫৪

কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বাক স্বাধীনতার দাবি ঝুমনের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সুনামগঞ্জের শাল্লা ঝুমন দাস কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ছেন।

বুধবার বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটের সময় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থেকে বের হন ঝুমন। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেই কুলে নেন তার একমাত্র সন্তান ঈশানকে।

কারাগার থেকে বেরিয়ে ঝুমন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত একজন মানুষ। জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। তবে আমি চাই বাকস্বাধীনতা। যেন এটি সুন্দরভাবে সবাই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।  

তিনি বলেন, আমি আমার বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করতে চেয়েছি কোন অপরাধ করিনি।

তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা আমি অবশ্যই মেনে চলব। যে শর্তগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আমি দেখেছি এবং তা আমি পালন করব।

এরআগে ১৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঝুমন দাসের জামিন দেন।

পরে আইনজীবী জানান, ঝুমন দাস ভবিষ্যতে ফেসবুকে উসকানিমূলক ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কোনও পোস্ট দেবেন না, এই মুচলেকায় তাকে ৬ মাসের জন্য জামিন  দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হাজির হন। পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে।

পরে ওই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে হেফাজত ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যা সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। উসকানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় প্রায় ৭ মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন।

জামিনে মুক্তির শেষ সময়ে এসে ফের গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অপরাধে ৩০ আগস্ট দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পোস্ট দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই মামলায় পুনরায় জামিন আবেদন করেন ঝুমন দাস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত