বানিয়াচং প্রতিনিধি:

২৪ নভেম্বর, ২০২২ ২১:০৯

বানিয়াচংয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাখি শিকার ও পাচারের অভিযোগ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার ও পাচারের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী এই অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বানিয়াচং থানার ওসি বরাবর তিনি এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম হায়দারুজ্জামান ধন মিয়া। তিনি উপজেলা সদরের ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

অভিযোগে জানা যায়, গত বুধবার ‘বানিয়াচংয়ে প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে পাখি হত্যার মিশনে নেমেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ধনমিয়া’ শিরোনামে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে হবিগঞ্জের বন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে আসে। পরে তারা বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান ধন মিয়াসহ আরও কয়েকজন পাখি শিকার ও পাচার করছে বলে তারা জানতে পারেন।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার পাখি শিকারের সময় স্থানীয় জনসাধারণ ইউপি চেয়ারম্যানকে বাধা দিলেও তিনি সেকথা শোনেন-নি। পাখি শিকার করার ভিডিও চিত্র বর্তমানে বন কর্মকর্তাদের হাতে রয়েছে। পাখি শিকার ও পাচার করা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর দন্ডনীয় অপরাধ। ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কারো বাধা না মেনে আইন না মেনে প্রতিদিন হাওরে গিয়ে পাখি শিকার করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়ার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করার অভিযোগও রয়েছে। এরআগে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নে ছান্দ সর্দার নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালান ধন মিয়া। গুলি চালানোর ফলে প্রায় ৩০/৪০ জন সাধারণ মানুষ আহত হন। একাধিক ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত