কানাইঘাট প্রতিনিধি

৩০ নভেম্বর, ২০২২ ২২:০৪

বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় মঈনকে

৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটের কানাইঘাটের মঈন উদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামে শফিকুল হক বাদী হয়ে বুধবার এ মামলা করেন।

মামলায় কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন, তার ভাই আলী হোসেন সহ পরিবারের ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং- ২১।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মঈন উদ্দিন একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলী হোসেনের বসত বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। আলী হোসেনের স্ত্রী মমতা বেগমকে মঈন উদ্দিন ভাবি বলে সম্বোধন করতেন। একপর্যায়ে আলী হোসেনের ভাগ্নি তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দনের সখ্যতা গড়ে উঠে। যা আলী হোসেন, আলিম উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজন ভালোভাবে নেননি। তারা মঈন উদ্দিনকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন এবং তানিয়া বেগমের সাথে কথা না বলার জন্য গালাগালি করে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঈন উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে সম্প্রতি তাকে আলিম উদ্দিন ও তার ভাই আলী হোসেন হত্যার হুমকি দেন। এতে আলিম উদ্দিন, আলী হোসেন ও তাদের ভাগ্না মারজান মিলে মঈন উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে গত সোমবার রাতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ফোন দিয়ে একই গ্রামের মারজানের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে মঈন উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার লাশ গ্রামের সাধন দাসের বাড়ির পাশের ক্ষেতের মাঠে ফেলা রাখা হয়।

কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, মমতা বেগম ও তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দিনের সখ্যতা থাকার কারনেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে। তানিয়া বেগমের বাড়িতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হত্যা করার পর পাশ্ববর্তী ধান ক্ষেতের মাঠে তার ফেলে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযােগে এজাহারভুক্ত আসামি আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তার করতে এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত