মো. বেলাল হোসাইন, জুড়ী

০৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ২১:৪১

শখের বশে সফল চাষি

দীর্ঘদিন কুয়েতে থেকে ২০০৮ সালে বাড়ি এসেছেন জুড়ীর হামিদপুর গ্রামের রজাক মিয়া। পারিবারিক সম্পত্তির পাশাপাশি নিজের বিদেশের উপার্জিত টাকা দিয়ে জায়গা-জমি ক্রয় করেন তিনি। পরিবারের অভাব অনটন না থাকলেও বেকার সময় যেন কাটে না তার। শখ করে বাড়ির চারপাশে রোপণ করেন লিচু গাছ। বছরে অনেক টাকার লিচু বিক্রি করেন তিনি।

এ বছর পুরাতন একটি বাড়ির অংশে মাছ চাষ করেন। সেই মৎস্য খামারের পাশে মাত্র ১১ শতক জায়গায় শখ করে লাউ চাষ করেন তিনি। শখের বশে চাষাবাদ শুরু করলেও এখন এলাকার অন্যতম সফল চাষি রজাক মিয়া। অল্প সংখ্যক জায়গায় চাষকৃত লাউ এখন গাড়ি ভরে বিক্রি করতে হয় তাকে।

সরেজমিনে রজাক মিয়ার বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গিয়ে দেখা যায়, কম সংখ্যক জায়গায় রয়েছে বড় বড় লাউয়ের মাচা। কয়েকটি মাচায় অনেক লাউ রয়েছে। এর মধ্যে যেগুলো পরিপূর্ণ হয় তা সাপ্তাহিক বাজারে পাঠিয়ে দেন তিনি। এভাবে গত ২ মাসে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন তিনি। পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও পাঠিয়েছেন অনেক লাউ। লাউ বাগান দেখে মনে হবে, কোন পেশাদার চাষি যেন এ ক্ষেত করেছেন।

রজাক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লাউয়ের পাশাপাশি রয়েছে লিচু গাছ, নিচের অংশে রয়েছে কমলা বাগান। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দুই বছর আগে কমলার চারা নিয়ে তিনি কমলা বাগানও করেছেন।

রেজাক মিয়া জানান, আমি সৌখিন মানুষ। বিদেশ থেকে এসে দেশে বেকার সময় কাটিয়েছি। তাই একদিন চিন্তা করে লিচু বাগান করলাম। পরে কমলা বাগান করেছি, বর্তমানে লাউয়ের চারা রোপণ করে অনেক লাভবান হয়েছি। ভোরে ফজরের নামায পড়ে ক্ষেতে যাই, নয়টার দিকে বাড়িতে চলে আসি, আবার আছরের নামাযের পর ক্ষেতে গিয়ে দেখাশোনা করি। এভাবে সামান্য পরিশ্রমে অনেক টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আমার কাছে টাকার চেয়ে বেশি ভাল লেগেছে, আমার ক্ষেতগুলো দেখে। এত সুন্দর ক্ষেত হবে আমি ভাবতেও পারিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত