কুলাউড়া প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ১৯:১৯

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অটোরিকশা চুরির চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (৩৫) মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ১০টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শনিবার উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপার রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) কুলাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক এক ইউপি সদস্যসহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা চুরির চষ্টা চালায়। একপর্যায়ে কাইয়ুমসহ স্থানীয় লোকজন চুরির চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে অজ্ঞাতনামা যুবককে আটক করে বেধড়ক মারপিট করেন। খবর পেয়ে ভাটেরা অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় অজ্ঞাতনামা যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটায় ওই ব্যক্তিকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাতে তিনি মারা যান। এর আগে সন্ধ্যায় পুলিশের ভাটেরা অস্থায়ী ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে আবদুল কাইয়ুমসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে আবদুল কাইয়ুম, আনসার মিয়া, আসুক মিয়া ও সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে কাইয়ুম ও আনসার এজাহারভুক্ত আসামি।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক জানান, নিহত ব্যক্তির এখনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি এখনো। সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত হবে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত