সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ০০:২৩

হিরো আলমকে দেওয়া গাড়ির কাগজ ঠিক করতে লাগবে ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা!

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শিক্ষক মুখলিছুর রহমান আলোচিত হিরো আলমকে যে মাইক্রোবাস উপহার দিয়েছেন সেই গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন করতে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৩ টাকা ফি দিতে হবে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ)। বিআরটিএর ওয়েবসাইটের অনলাইনের তথ্যে অনুযায়ী ওই গাড়ির কাগজপত্র ১০ বছর ধরে নবায়ন করা হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় হিরো আলম উপহারের গাড়িটি গ্রহণ করে সেটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে মুখলিছুর রহমানের গাড়ি উপহার দেওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সোস্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনা সমালোচনা চলছিল। গাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য, গাড়িটি দেবেন কিনা এবং নানা বিষয় নিয়ে। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে গাড়ির কাগজপত্রের মেয়াদ না থাকা নিয়ে। ১০ বছর ধরে গাড়িটির কাগজপত্র নবায়ন নেই। গাড়ি প্রদানের পর ফেসবুকে গাড়ি নবায়নে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন এমন স্ট্যাটাস ভাসছে।

গত ৩১ জানুয়ারি রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ এম মুখলিছুর রহমান তার নিজ ফেসবুক আইডি ‘প্রিন্সিপাল এম মুখলিছুর রহমান’ থেকে ঘোষণা দেন তার ব্যবহৃত নোহা গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দেবেন। নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে তিন মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

এরপর কয়েক দফা যোগাযোগের পর মঙ্গলবার দুপুরে হিরো আলম চুনারুঘাট এসে গাড়িটি মুখলিছুর রহমানের হাত থেকে গ্রহণ করেন। এদিকে গাড়ি গ্রহণের পরপরই নতুন আলোচনা শুরু হয়, গাড়িটির কাগজপত্র নবায়ন নেই (ডেইট ফেইল) নিয়ে।

বিআরটিএর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী গাড়িটির নং ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৪১০১। ১৮০০ সিসি গাড়িটির টেক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ এবং ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয় ১৫ জুলাই ২০১৩ সালে। তবে রোড পারমিটের কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী গাড়িটি বর্তমানে হালসন পর্যন্ত নবায়ন করতে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৩ টাকা ফি লাগবে। গত ১০ বছর ধরে গাড়িটির কোনো কাগজপত্র নবায়ন করা হয়নি।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাড়িটি মুখলিছুর রহমান গত এক বছর ধরেই বিক্রির চেষ্টা করছিলেন; কিন্তু গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় বিক্রি করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

একজন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাড়িটি দেড় লাখ টাকা বিক্রির জন্য দাম উঠেছিল; কিন্তু তিনি বিক্রি করেননি। অবশ্য তিনি গাড়িটি সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন বলে লাইভে জানিয়েছিলেন। তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত