নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ মে, ২০২৩ ১৪:০২

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ: ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছে। মনোনয়নপত্র জমাদানকালে আচরণবিধি ভেঙে তিনি শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করেন বলে অভিযোগ। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল এমন আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

বাবুলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। আমি কারো বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেই না। অভিযোগ করার মতো কিছু.. আপনারা সাংবাদিকরা আছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। আর যদি আমাদের পক্ষ থেকে যদি কোন ইয়ে... হয়। তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। বাছাইয়ে আনোয়ারুজ্জামানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এমনটি বলেন।

এরআগে বুধবার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়- সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

মনোনয়নপত্র দাখিলে কয়েক’শ নেতাকর্মীর শোডাউনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন হয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পাঁচজন আমরা সেখানে (নির্বাচন অফিস) গিয়েছিলাম। এখানে সাংবাদিকরা ছিলেন। অনেক কাউন্সিলর ডুকে গিয়েছেন। অনেক মানুষ ঢুকে গিয়েছে। এটাও সত্য কিছু লোক সেখানে গিয়েছে। কিন্তু সবাই আমাদের লোক না। একসাথে ঢুকতে গিয়ে সবাই ঢুকে গেছে।’

ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি ইভিএম নিয়ে কোন শঙ্কা দেখি না। যারা ভোট চায় না। যারা নির্বাচন চায় না তারাই এর নিয়ে মানুষের মনে শঙ্কা সৃষ্টি করছে।’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে বলেন, ‘এখন যারা প্রার্থী আছেন তারা সবাই শক্তিশালী। নির্বাচনে যারা আসে নাই তাদের নিয়ে আলোচনারও কিছু নেই।’

এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫ স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও মো. জহিরুল আলম (জাকের পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (স্বতন্ত্র), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (স্বতন্ত্র)।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া মেয়রপ্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন- সামছুন নুর তালুকদার, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন, মো. শাহজাহান মিয়া, মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীর ওয়ার্ড ৪২টি।

মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি।

আগামী ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত