নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৭ মে, ২০২৩ ০০:০৪

গাজীপুরের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক দাবিদারদের মুখে ‘চুনকালি’ পড়েছে: জাতীয় পার্টি

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সভায় কাজী মামুন

বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ বলেছেন, ‘‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিদারদের মুখে চুনকালি দিয়ে গাজীপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়ে না। দরকার নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং স্বদিচ্ছা,, ‘যোগ করেন মামুনূর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত জাপার (জাতীয় পার্টি) সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মামুন বলেন, ‘‘ভুলে যান কেনো?, মাগুরার উপ নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের নির্লজ্জ সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। কি হয়েছিল সেদিন, আমরা কি ভুলে গেছি?

‘‘তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ সাহেব সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মাগুরা ছেড়ে এসেছিলেন। সুতরাং মাগুরার নির্বাচনকারীদের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানায় না। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়, তেমনি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিরাপদ নয়।’’

কাজী মামুন বলেন, ‘‘বলার অপেক্ষা রাখে না, নিঃসন্দেহে গাজীপুরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে আর কি প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে?

‘‘গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রায় এক লাখ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে লাঙলের প্রার্থীরা তেমন ভোটই পেয়েছেন। তাহলে এবার লাঙলের প্রার্থীর জামানত হারানোর মানে জাতীয় পার্টির পরাজয় নয়, এটা জিএম কাদেরের পরাজয়।’’

সিলেটে পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য কাজী মামুন বলেন, ‘‘নির্বাচনে কে লাঙল প্রতীক পেলো, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। লাঙলের মালিক এরশাদ-রওশন এরশাদ। তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা লাঙলের উত্তরাধিকারী। সুতরাং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।’’

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমদ, জাপা নেতা অ্যাডভোকেট আবু সালেহ চৌধুরী, মুজিবুর রহমান ডালিম, মুরাদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট কবির আহমদ, মো. জামাল মিয়া, মো.কাইয়ুমসহ সিলেট বিভাগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত