তপন কুমার দাস

১৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:১৫

বড়লেখায় সেচের আওতায় ৫০০ হেক্টর কৃষি জমি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় স্লুইচ গেইট, রেগুলেটর নিমার্ণ ও খাল খননের মাধ্যমে ৫০০ হেক্টর কৃষি জমি সেচ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ায় সোমবার (১৮ জানুয়ারি) কৃষকদের নিয়ে গঠিত দেওছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কাছে খাল, স্লুইচ গেইট ও রেগুলেটর দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বড়লেখা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের খামারি খাল ও মুন্সীর খালের সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হয়েছে। খাল দুটির তিনটি স্থানে স্লুইচ গেইট ও রেগুলেটর স্থাপন করা হয়েছে।

দেওছড়া উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে এই খাল খনন করায় দুটি ইউনিয়নের ৫০০ হেক্টর কৃষি জমি সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। এতে ধান ও সবজি চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ করারও সুবিধা পাওয়া যাবে। পানি সংরক্ষণ ও সেচ এলাকা বৃদ্ধি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসন, কৃষি উৎপাদন, মৎস্য ও হাঁস পালনে এলাকার কৃষকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে দাতা সংস্থা জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর এলাকায় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (জাইকা) কাজটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে গত বছরের (২০১৫) ডিসেম্বর মাসে। এতে খাল খননসহ ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

সোমবার উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চরিয়া গ্রামে এলজিইডি আনুষ্ঠানিকভাবে স্লুইচ গেইট, রেগুলেটর ও খাল পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে দেওছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি এমরানুল হক বাবু। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল হকের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এলজিইডি মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস, উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষন পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, এলজিইডি মৌলভীবাজার কার্যালয়ের কমিউনিটি পার্টিসিপেশন কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার, সমিতির কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ জুবের, সদস্য আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত