রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ২৩:৩৩

ডুবন্ত বাঁধে এখনও পড়েনি মাটি, চিন্তিত কৃষক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মইয়ার হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ডুবন্ত বাঁধে (ক্লোজার) এখনো মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়নি। এই ভাঙা স্থানে কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকেরা ফসল নষ্টের শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, মইয়ার হাওরের ফসলরক্ষার পাশাপাশি এ বাঁধ জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ফসলরক্ষায় ভূমিকা রাখে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুই হাওরের ফসলডুবির শঙ্কা থাকে।

বৃহস্পতিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দ্বিতীয় বৃহৎ মইয়ার হাওরের ব্রাক্ষণধাইর নামক স্থানে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ডুবন্ত বাঁধটিতে বিশাল ভাঙন রয়েছে। এ ভাঙনে এখনো মাটি পড়েনি। পরিদর্শনকালে বাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা কোনো লোকজনকেও দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে শূন্য দশমিক ৩৭১ কিলোমিটারে বেড়ি বাঁধের জন্য ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩১৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ডুবন্ত বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট জায়গায় বিশাল ভাঙনে দেড় মাস পার হলেও মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি। এদিকে মইয়ার হাওরের ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রকল্পের কাজ চলমান দেখা গেছে।
মইয়ার হাওরের কৃষক জোবায়ের মিয়া বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ওই বাঁধে সবার আগে কাজ শুরু করা প্রয়োজন ছিল। অথচ এখন মাটিই পড়েনি। এতে আমরা চিন্তায় রয়েছি।

ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সাহিজুর রহমান খলিল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ওই স্থানে কাজ শুরু না হলেও প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুতই ওই স্থানে মাটির কাজ শুরু করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল বলেন, এবার ৩৩টি পিআইসির মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজে মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সদস্য আলী আহমদ বলেন, ‘ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের দেড় মাস পার হলেও কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এখনো বেশ কিছু প্রকল্পে মাটির কাজ শুরু হয়নি। এতে আমরা কাজ নিয়ে শঙ্কিত।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা নিয়মিত কাজ তদারকি করছি। যেসব প্রকল্পের কিছু অংশ মাটি পড়েনি দ্রুত সেসব স্থানে মাটির কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত