নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০০:০৯

সিলেটে মধ্যরাতে আ.লীগ নেতার বাসায় কী ঘটেছিল?

সিলেট মহানগরের জালালাবাদ এলাকায় মধ্যরাতে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় হামলার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।

তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মূলত বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়ার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটে। কিন্তু মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছড়ানো হয় ডাকাত প্রবেশের আতঙ্ক। দুই পক্ষের মারামারি ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। প্রায় ৩ ঘন্টার উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, ছুটাছুটির পর ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। আটক করা হয় ১১ জনকে। পরে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ঘটনার আপোষ নিষ্পত্তি হয়।

রোববার দিবাগত (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হান্নানের সঙ্গে বাসার ভাড়াটিয়ার মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, তখন ওই বাসার সামনে সশস্ত্র লোকজনকে মহড়া দিতে দেখা যায়। এরপরই ওই মহল্লার মসজিদের মাইকে একাধিকার ওই গলিতে ডাকাত ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।এ ঘোষণায় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন অনেকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ১১ জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বরইকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ রইছ আলীর ছেলে ও জালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোঃ তারেক আহমদ (৪৭), মোঃ আরিফ আহমদ (৩৭), হোসেন আহমদ (৩৩) ও মোঃ সাইদ ইকবাল (৪২), নগরীর দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুহেল (৩৬), দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বরইকান্দি এলাকার মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (৪২), একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ ফয়জুর রহমান (৩৫), শেখ ধলা মিয়ার ছেলে মোঃ আলী রিপন (১৮), মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন (৫০), ধলা মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ (২৯)।

ঘটনার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান বলেন, বাসায় আমার মা, স্ত্রীসহ সন্তানরা ছিল। হঠাৎ কিছু ‘ডাকাত’ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি দরজা খুলে না দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় চারপাশে হামলা চালায়। পরে আমি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছি।

আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত চক্রবর্তী বলেন, একটি বাসায় হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল যাই এবং ১১ জনকে আটক করি। পরে উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এয়ারপোর্ট থানার পরির্দশক (তদন্ত) দেবাংশু দে জানান, মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান ও পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ক্ষুব্ধ কয়েকজন এলাকাবাসীর দাবি, যারা ডাকাতের আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষের শান্তি হরণ করেছে; তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত