নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০০:৪৩

ভাষাসৈনিকের হাতে শিশুদের হাতেখড়ি

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিলেটে ভাষাসৈনিকের কাছে শিশুদের হাতেখড়ির আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ভাষাসৈনিক মো. আব্দুল আজিজের বাসভবনে এই হাতেখড়ির আয়োজন করে শিশু- কিশোরদের সংগঠন পাঠশালা। ১৫ বছর যাবত ভাষাসংগ্রামীর কাছে শিশুদের হাতেখড়ির আয়োজন করছে পাঠশালা।

এবার সিলেটে দুই থেকে পাঁচ বছরের পাঁচজন শিশু হাতেখড়ি নেয় ভাষাসৈনিক মো. আব্দুল আজিজের কাছে। হাতেখড়ি নেওয়া শিশুরা হল- সংগীতশিল্পী সোমা রায় চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সুদীপ রঞ্জন রায়ের মেয়ে অর্থি রায়, নাট্যকর্মী দম্পতি উত্তরা সেন পম্পা ও দেবুজ্যোতি দেবুর মেয়ে দেবাঙ্কিতা দাস প্রহর, সাংবাদিক দম্পতি শাকিলা ববি ও মামুন হোসেনের মেয়ে সাইয়ারা হোসেন মেহেক, শিক্ষক দম্পতি কণিকা পাল ও ড. বাসুদেব পালের ছেলে বুধাদিত্য পাল ঋষভ ও পদ্মা রায় ও অধ্যাপক প্রবীর রায়ের ছেলে অংশুমান রায় পরম। এটি ছিল পাঠশালার ১৫তম আয়োজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, শিশু- কিশোরদের সংগঠন পাঠশালার (থিয়েটার) পরিচালক হুমায়ুন কবির জুয়েল।

পাঠশালার পরিচালক হুমায়ুন কবির জুয়েল বলেন, আমাদের মায়ের ভাষা রক্ষা করতে অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন ভাষাসৈনিকরা। যে ভাষাসৈনিকরা এখনো জীবিত আছেন তারা আমাদের সম্পদ। একটি শিশু যখন বড় হয়ে জানতে পারবে তার হাতেখড়ি একজন ভাষাসৈনিকের হাতে হয়েছে তখন সে তার মধ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা লালন করতে পারবে। তার মধ্যে দেশপ্রেম বাড়বে। পাঠশালার আয়োজনে ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই সহস্রাধিক শিশু ভাষাসৈনিকদের কাছে হাতেখড়ি নিয়েছে। আমরা আগে ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদমিনারে এই আয়োজন করতাম। কিন্তু দুবছর যাবত ভাষাসৈনিক মো. আব্দুল আজিজের শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ। তাই এখন আমরা তার বাসায় এই আয়োজন করছি।

হাতেখড়ি নেয়া বুধাদিত্য পাল ঋষভের মা কণিকা পাল বলেন, আমার সন্তানের হাতেখড়ি একজন ভাষাসৈনিকের হাতে হয়েছে সেটা আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের। কারণ আর কয়েকবছর পর আমরা আর ভাষাসৈনিকদের পাবো না। তখন আমাদের সন্তানেরা গর্বের সাথে বলতে পারবে যে তারা ভাষাসৈনিকদের দেখেছে। তাদের সান্নিধ্য পেয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত