নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:২৭

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ডরমেটরির পলেস্তারা খসে চিকিৎসকের স্বামী-সন্তান আহত

স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের ডরমেটরিতে নিজের জন্য বরাদ্ধকৃত বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খাদিজা কাদের ফৌজিয়া।  ৩১ মার্চ রাতে ওই বাসার শয়ন কক্ষে স্বামী সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সেহরির ঠিক আগ মূহূর্তে হঠাৎ খসে পড়ে ওই কক্ষের ছাদের পলেস্তারা।

 এতে গুরুতর আহত হন ফৌজিয়ার স্বামী বাপেক্সের কর্মকর্তা  মো. তারেকুজ্জামান সরকার এবং তাদের দশ মাস বয়সী সন্তান তাহসিফ আব্দুল্লাহ। তারেকুজ্জামান প্রথমে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেন। পলেস্তরা খসে পড়ে তার মাথা ফেটে যায়। সেখানে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাতেও আঘাত পেয়েছেন তিনি।

যে ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে পাছ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ শেষে ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দুই বছরের মধ্যে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় এটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে।

ডরমেটরি ভবন উদ্বোধনের পর ২০২২ সালের মার্চে প্রথম বাসিন্দা হিসেবে এই ভবনে উঠেন ডা ফৌজিয়া। তিনি ভবনটির ২য় তলার ডানপাশের ফ্ল্যাটে থাকেন।

ডা ফৌজিয়া বলেন, ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। আমরা শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠি। প্রথমে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। পরে দেখি আমার স্বামীর মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

তিনি বলেন, নবনির্মিত এই ভবনের ছাদের অনেক স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এছাড়া প্লাস্টারেও ফাটল ধরেছে।

  ফৌজিয়ার স্বামী মো. তারেকুজ্জামান সরকার বলেন, এই ঘটনার পর থেকে আমরা খুব আতংকে আছি। চাকরির জন্য আমি বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী ও সন্তান ওই বাসায় থাকেন। বাসাটি যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাতে আগামীতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, ভবনটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়নি। দেখেই বুঝা যায় অনেক দুর্নীতি হয়েছে। কোন সিমেন্ট দেখা যায় না। কেবলই বালির আস্তরণ। একারণেই পলেস্তারা খসে পড়ছে।

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. যশবন্ত ভট্টাচার্য বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বিল্ডিংটা নতুন বানানো হয়েছে। মাত্র দুই বছর হয়েছে। এরমধ্যেএরকম একটা ঘটনা ঘটে গেলো।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি সিভিল সার্জন এবং ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। জনস্বাস্থ্যের একজন প্রকৌশলী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ভবন পরিদর্শনে আসবেন।

   ডা. যশবন্ত বলেন, দুর্ঘটনার শিকার চিকিৎসক তার আহত স্বামী সন্তান নিয়ে চিকিৎসার জন্য এখন ঢাকায় আছেন। ঈদের পর তারা আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া  হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত