০৪ মে, ২০২৪ ২৩:৪৩
সিলেটের জৈন্তিয়া রাজ্যের প্রাচীন পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন ভারতের আসাম গুয়াহাটি রয়্যাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মি. সজল নাগ।
তিনি বলেন, জৈন্তিয়া একটি অতি প্রাচীন রাজ্য ছিল। এখনও জৈন্তিয়ার পরতে পরতে বহু মূল্যবান মেগালিথ পাথরসহ প্রাচীন অনেক পুরাকীর্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট এসব নিদর্শন একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিহাসবিদসহ এই অঞ্চলের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষণার উৎস কেন্দ্র হতে পারে জৈন্তিয়া রাজ্যের হাজার বছরের পুরানো এসব প্রাচীন নিদর্শন।
শুক্রবার সকালে তিনি জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন কালে তার সাথে ছিলেন তাহার সহধর্মিণী নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি শিলং'(মেঘালয়) ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তেজিমালা গুরুং নাগ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় (শিলচর) ইতিহাস বিভাগের সাবেক সিনিয়র অধ্যাপক এবং ডিন স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সের সাবেক অধ্যাপক সজল নাগ।
জৈন্তিয়া রাজ্যের রাজধানী সমতল অংশের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনি জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় অধ্যাপক মি. সজল নাগ বলেন, সিলেটের জৈন্তিয়া রাজ্যের সীমানা এক সময়ে ভারতের মেঘালয় খাসিয়া জৈন্তিয়া হিলর্স ও আসামের নাওগা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অহেম রাজ্যের সাথে জৈন্তিয়ার ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার তথ্য ইতিহাসে উল্লেখ আছে। এসব প্রাচীন নিদর্শন একটি জাতির আত্মপরিচয় ও সভ্যতার ইতিহাস বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত মেঘালয় সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় জৈন্তিয়া রাজ্যের প্রাচীন পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও সংস্কারের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শনকালে তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও জৈন্তিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য গ্রন্থের লেখক নূরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা: মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, সমাজসেবী আলতাফ হোসেন বিলাল।
আপনার মন্তব্য