বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৩ মে, ২০২৪ ০০:৩৯

বিশ্বনাথে প্রবাসী চাচার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ ভাতিজার

যুক্তরাজ্য প্রবাসী আপন চাচা (বাবার সৎ ভাই) ইব্রাহিম মিয়ার (৬০) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেছেন তার ভাতিজা শায়েস্তা মিয়া (৪৬)।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন শায়েস্তা। তিনি পৌর শহরের নরশিংপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে শায়েস্তা মিয়া বলেন, বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়ক থেকে নরশিংপুরের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে দীঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে তাদের চাচা-ভাতিজার মধ্যে দ্বন্ধ চলছে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে একটি করে বিয়ে করেন এবং তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও তিনি দেশে ফিরে বাড়ির প্রবেশ রাস্তায় জোরপূর্বক গেইট নির্মাণ শুরু করেন। এতে তারা বাঁধা দিয়ে সিলেট আদালতে লিখিত অভিযোগ করলে আদালত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে কাজ বন্ধ করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে থানার এসআই অমিত সিংহ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এতে তার চাচা ইব্রাহিম মিয়া তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং হুমকি ধামকি দেন।

এরপর ওসমানীনগরের খাইয়াখাইড় গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তি জনৈক হিরণ মিয়া নামের একজনকে বাদী করে তাদের ৪ভাইয়ের উপর মিথ্যা মারামারি মামলা দায়ের করান চাচা ইব্রাহিম। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ১১। মামলায় তিনি ও তার অপর দুই ভাই জামিনে থাকলেও তার বড় ভাই রামপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজির মিয়া (৫০) জেল হাজতে রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে শায়েস্তা আরও অভিযোগ করে বলেন, তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্যে তার চাচা গত ১৮মে বিকেলে ৪০-৫০জনের একদল সন্ত্রাসী ভাড়া করে তাদের উপর হামরা চালালে তারা ৫জন আহত হন। থানায় পুলিশ চাচার পক্ষাবলম্ভন করায় এঘটনায় তিনি (শায়েস্তা মিয়া) বাদী হয়ে ২০মে সিলেটের আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মমলা দায়ের করেছেন। মামলায় চাচা ইব্রাহিম মিয়া (৬০) ও তাদের উপর মামলাকারী হিরণ মিয়াসহ (৬৫) ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেছেন। বর্তমানে চাচার ভয়ে তারা পলাতক হিসেবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে বসবাস করছেন তারা।

প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়া বছরে বছরে বিয়ে করাসহ সকল অভিযোগ মিথ্য দাবি করে বলেন, তার বসতঘর থেকে পুকুরে যাবার একমাত্র রাস্তায় শায়েস্তা মিয়ারা জোরপূর্বক গেইট নির্মাণ করতে চাইলে তিনি বাঁধা দিয়েছেন। যে কারণে গত ১৮মে শায়েস্তা মিয়াসহ অপর ভাতিজারা মিলে তার উপর হামলা করেছে এবং তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি থেকে বুধবার (২২ মে) বিকেলে সিলেটের বাসায় ফিরেছেন বলেও জানান তিনি।

বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবির্ত বলেন, পুলিশ কারো পক্ষপাতিত্ব করছে না। আসল ঘটনা হচ্ছে গত ১৮মে নিজ বাড়িতে  গেলে প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার উপর তার ভাতিজারা হামলা করে মাতা ফাটিয়ে আহত করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত