০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০২:৩২
সিলেটে যৌথ বাহিনী পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চিনি ও সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। সরকারি ওষুধ অসৎ উদ্দেশ্যে রাখার দায়ে এ সময় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি।
গোয়াইনঘাট ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শনিবার সকালে ও বিকেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র থেকে সরকারি বরাদ্দের ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই নারীর বাড়ির খাটের নিচ থেকে দুই কার্টন ওষুধ জব্দ করা হয়।
ওষুধগুলোর প্যাকেটের গায়ে ‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্পত্তি, বিক্রয়ের জন্য নহে’—এমন কথা উল্লেখ করা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই নারীকে আটক করা হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত রঞ্জন দেব বলেন, ওষুধ জব্দের ঘটনায় ওই নারীকে নানা প্রশ্ন করা হয়। ওষুধগুলোর উৎস জানতে চাইলে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তিনি একেক সময় একেক কথা বলেছেন। পরে ওষুধগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, তিনি ছুটিতে থাকায় বিষয়টি বিস্তারিত জানতে পারেননি। তবে শুনেছেন অধিদপ্তরের ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
এদিকে গোয়াইনঘাটে শনিবার সকালে দুটি পিকআপে থাকা ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। জাফলং-তামাবিল সড়কের গুচ্ছগ্রাম মোড় থেকে চিনিভর্তি ওই দুটি পিকআপ জব্দ করা হয়। তবে এ সময় অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। তাই কাউকে আটক করা যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুন অর-রশিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মন্তব্য