সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ২২:৪৭

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় এজাহার নামীয় আসামি না হওয়া সত্বেও  আব্দুর রউফ নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রউফ উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি কয়লা সরবরাহকারি ব্যবসায়ী।

শনিবার বিকেলে থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন দেখা করতে বলেছেন বলে রউফকে কলাগাঁও বাজার থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, এএসআই কার্তিক।

রাতভর থানা হাজতে রেখে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গতবছরের ১৬ ডিসেম্বর তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউজ্জামান ইমনসহ ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের ২৪  নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে ওঅজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন তাহিরপুর থানার এসআই মো. আমির উ্দ্দিন।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ পারভেজ ভুঁইয়া।

রবিবার মামলার বাদী এসআই মো. আমির উ্দ্দিন জানান, আসলে আব্দুর রউফ ওই মামলায় কোন এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন না, মামলার তদন্তকারি অফিসার বলতে পারবেন কি কারনে  তাকে আসামি হিসাবে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারি অফিসার তাহিরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ পারভেজ ভুঁইয়া  বলেন, ওই মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে আব্দুর রউফের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।  

তবে রউফের মা মোছা. বানেছা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা সমর্থকও নয়। সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং সাধারন কয়লা ব্যবসায়ি।

তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ মহল বিশেষের আক্রোশে ও ইন্দনে হয়রানি করতে আমার ছেলের নামে অতীতে কোন ধরণের মামলা না থাকার পরও গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

রবিবার তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নিকট গ্রেপ্তার রউফের মায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত